দখিনের সময় ডেস্ক:
গ্রামে অনলাইন জুয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিসম্প্রতি গ্রামে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।
২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের কিশোর-তরুণরা অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতাও রয়েছে। পাশাপাশি অনেকে মোবাইলে গেম খেলে। এসব কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে।