দখিনের সময় ॥
বিভিন্ন গবেষণায় ডায়াবেটিসের সঙ্গে মুখ ও দাঁতের বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখা হচ্ছে দাঁত ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, মাড়ির রোগ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হলে মাড়ির রোগও বেড়ে যায়। এতে অল্প বয়সে দাঁত হারানোর শঙ্কা থাকে। অন্যদিকে ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে অতি সহজেই ডেন্টাল প্লাক দাঁত ও মাড়ির মাঝে জমা হয়ে মাড়ির প্রদাহের সৃষ্টি করে।
করণীয়:
# প্রতিদিন দুই বেলা সকালে ও রাতে খাবারের পর নরম শলাকার ব্রাশ দিয়ে দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করতে হবে।
ব্রাশের শলাকা বাঁকা হয়ে গেলে অথবা তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
# প্রতি ছয় মাস থেকে এক বছর পর পর দাঁতের ডাক্তার দেখাতে হবে।
# দুই দাঁতের মাঝখানে পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতি রাতে অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
# যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে রক্ত দেখা যায় অথবা ব্রাশ করলে রক্ত পড়ে অথবা শক্ত খাবার খেলে খাবারে রক্ত দেখা যায় তবে দ্রুত ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে।
# মুখ রোগাক্রান্ত থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
তবে মাউথ ওয়াশ একটানা ১৫ থেকে ২১ দিনের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর পরিবর্তে লবণ ও গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
# দাঁতের সঙ্গে সঙ্গে জিহ্বা পরিষ্কার রাখতে হবে, কারণ জিহ্বা অসমতল হওয়ায় খাদ্য ও ব্যাকটেরিয়া বেশি জমে থাকার আশঙ্কা থাকে, যা রোগের আক্রমণ ঘটাতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের জিহ্বা পরিষ্কারক পাওয়া যায়।
# ডায়াবেটিক রোগীদের ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত। ডায়াবেটিস ও ধূমপান দুটিই মুখ শুষ্ক করে মুখের রোগ বাড়িয়ে দেয়।
# অ্যালকোহলমুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।
# দৈনিক সাত-আট গ্লাস পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
# মিষ্টিজাতীয় খাবার ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেও খাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখ কুলকুচি করে ফেলতে হবে।