Home লাইফস্টাইল মশা থেকে রক্ষা পেতে চান?

মশা থেকে রক্ষা পেতে চান?

দখিনের সময় ডেস্ক:
মশা হলো এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল কোনো কিছুতেই মশা তাড়ানো সহজ নয়। আবার এসব দিয়ে মশা তাড়ালেও আমাদের স্বাস্থ্য এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। আগেকার যুগে মশার কয়েল, স্প্রেতো কিছুই ছিল না। তখনকার মানুষ কিভাবে মশার হাত থেকে রক্ষা পেতেন? চলুন জেনে নিই কিছু ঘরোয়া উপায়-
# বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে লেবু ও সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করতে, একটি লেবু নিন, এটি অর্ধেক করে কেটে নিন। এতে সরিষার তেল দিয়ে লবঙ্গ-কর্পূর দিয়ে পুড়িয়ে নিন। এটি পোড়ালে মশা তাড়াতে পারে।
# মশা থেকে রক্ষা পেতে পেপারমিন্ট তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি করতে, পানিতে কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে মশা কামড়াবে না এবং পালিয়ে যাবে।
# কর্পূরের সাহায্যে মশা তাড়ানো যায়। এটি করার জন্য, কর্পূর ট্যাবলেটগুলোকে পিষে যেকোনো তেলের সাথে মিশ্রিত করুন এবং এই তেল দিয়ে একটি প্রদীপ জ্বালান। এতে করে মশা পালিয়ে যায়।
# নিমের তেতো পাতা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু দূর করতে ব্যবহার করা হয়। নিম পাতা ঘর থেকে মশা তাড়াতে পারে। এই পাতার গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। নিমের তেল ত্বকে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এ কারণে মশা কামড়ায় না।
# বেশি করে ক্ষারীয় সবজি খেলে আপনার শরীরে ও রক্তে ক্ষার থাকলে মশা আপনাকে কামড়তে পছন্দ করবে না। তারপরও যদি কামড়ায়, তাহলে সেটা থেকে চুলকানি হবে না।
# রসুনের খোসা ছাড়ান। তারপর মশা যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে লাগান। একটু পরে আর চুলকানি হবে না।
# বেশ কয়েকজন একসঙ্গে থাকার সময় মশা যদি কেবল আপনাকে কামড়ায়, তাহলে মশা যে গন্ধ অপছন্দ করে, আপনি সে গন্ধজাত খাবার বেশি করে খান। ভিটামিন ‘বি-১’ মশা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। বাইরে ভ্রমণে যাওয়ার ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকে ভিটামিন ‘বি-১’ খেতে থাকুন। ভিটামিন ‘বি-১’ খাওয়ার পর নিজে কোনো পার্থক্য হয়তো বুঝতে পারবেন না। কিন্তু মশা ঠিকই এ গন্ধ ধরতে পারবে এবং আপনার থেকে দূরে থাকবে।
# রাশি মৌরি ও মৌরি দুটি করে গরম পানিতে রাখুন। এ পানি দিয়ে গোসল করলেও মশা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
# মোজা পরুন। গ্রীষ্মকালে অনেকে মোজা পরতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোজা পরার পর মানুষের চামড়ার আর্দ্রতা ও নাজুকতা কমে বলে মশা কম কামড়ায়।
# মশার কামড়ের পর জায়গাটি চুলকায়। অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে চুলকানি কমানোর জন্য আঁচড় কাটেন। কিন্তু আঁচড় কাটার পর চামড়ার ভেতর থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে এবং জায়গাটি ফুলে যায়। আর যত বেশি আঁচড় কাটা হয়, পরে তত বেশি চুলকায়। আঁচড় না কাটলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর জায়গাটি আর চুলকাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

মাথার উপর অনেক চাপ? ভরসা হবে ‘সেকেন্ড ব্রেন’

দখিনের সময় ডেস্ক: মাথার উপর অনেক চাপ নিয়ে আছেন? বাজারে এসেছে সেকেন্ড ব্রেন! সেকেন্ড ব্রেন কোনও চিপ নয়। অপারেশন করেও একে শরীরে বসাতে হবে না।...

ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?

দখিনের সময় ডেস্ক: ফেসবুকে নিজের বা বন্ধুর প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে ‘নো পোস্ট অ্যাভেইলেবল’। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক ব্যবহারকারী। তাহলে কী...

এবার হোয়াটসঅ্যাপে এআই, যেভাবে কাজ করবেন

দখিনের সময় ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বে প্রতি মুহূর্তে কয়েকশ কোটি বার্তা আদান প্রদান হচ্ছে এই মেসেজিং অ্যাপে। তাই তো ব্যবহারকারীদের...

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

দখিনের সময় ডেস্ক: শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা...

Recent Comments