দখিনের সময় ডেস্ক:
নির্দেশনা অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ৩০ এপ্রিল। উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে যেসব এমপি-মন্ত্রীরা পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের প্রার্থী করেছেন তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত আসে তা জানতে দৃষ্টি সবার গণভবনে। জেলা নেতা থেকে শুরু করে উপজেলা ভোট করছেন এমন একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আহবান করা হয়েছে ৩০ এপ্রিল। ওইদিন সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬টি এজেন্ডা রাখা হয়েছে এবারের বৈঠকে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজনদের প্রার্থী হতে নিষেধ করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলের সভানেত্রীর এই নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম ধাপে কমপক্ষে ১৪ জন এমপি-প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন প্রার্থী রয়েছেন। পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোয়ও মাঠে আছেন আরও অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন।
নিজেদের বাঁচাতে এমপি ও তাদের স্বজনরা নানা যুক্তি সামনে আনছেন। এতে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নির্দেশনা অমান্য করা এমপি-মন্ত্রী এবং তাদের স্বজনদের তালিকা তৈরি করছেন তারা। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাংগঠনিক সম্পাদকরা রিপোর্টে এ তালিকা তুলে ধরবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা যারা মানবেন না তাদের দল করার প্রয়োজন আছে কি না প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ, দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। দলীয় প্রধানের আনুকূল্য নিয়েই তারা দলের এমপি-মন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন। তারা সভানেত্রীর নির্দেশনা মানবেন না- এটা হতে পারে না। সে কারণে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে সাহস না দেখায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, দলের নির্দেশনা অমান্য করে যেসব এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো তারা ৩০ এপ্রিল দলীয় সভানেত্রীর সামনে উপস্থাপন করবেন। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবেন, সেই মোতাবেক তারা তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।