দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশে বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে আতঙ্কের বিষয় হয়ে ওঠে সাপের দংশন। বিষধর সাপের দংশনে হরহামেশাই মানুষের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়, যার ফলে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই – এই তিন মাস সাপের কামড় এবং তার কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেশি দেখা যায়। কেননা অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সাপের আবাসস্থল বা গর্তগুলো ডুবে যায়। তখন তারা কোন উঁচু জায়গায়, অনেক সময় মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে বিচরণ করে। ফলে একটু অসাবধানে থাকলেই সাপে কাটার ঝুঁকি এসময় অনেক বেড়ে যায়। যে কোনো বিষধর সাপ কাটার পর অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ জরুরি হয়ে যায়। অন্যথায় রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
গবেষকরা বলছেন, সাপ সাধারণত নিভৃতচারী প্রাণি। তারা দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করেনা। কিছু কিছু সাপ ডিমও পছন্দ করে। যেসব সাপ শিকার করে তারা সাধারণত শিকার সরাসরি গিলে ফেলে। সাপ সাধারণত দীর্ঘজীবী হয়। ছোট সাপ ১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। বড় সাপ ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। গবেষকরা বলছেন, সাপের মধ্যে নিরামিষভোজী নেই। সাপ নিশ্চিতভাবে মাংস খায়। যেসব সাপ শিকার করে বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড়, মাছ ও অন্যান্য সরীসৃপ প্রাণি তাদের খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত।