দখিনের সময় ডেস্ক:
মিটু বিতর্ককে উসকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন শৈশবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। নারীর প্রতি যৌন নিগ্রহ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজের সঙ্গে ঘটা ঘটনার কথা সবার সামনে নিয়ে এলেন। টলিউড থেকে বলিউড, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রী হিসেবে সব ছবিতেই দর্শকদের নজর কাড়েন।
চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় তার সঙ্গে ঘটা ছোটবেলার সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে লেখেন, ‘আমার ভেতরে লম্বা সময় ধরে এই কান্না জমে আছে, শিশু নির্যাতনের শিকার আমি, নীরব থেকেছি। একজন তার বেড়ে ওঠা বছরগুলোতে চুপ থেকেছে কারণ সে প্রকাশ্যে এই সত্যিটা বলতে পারেনি। সেই অপরাধী স্বাভাবিকভাবেই শাস্তি পায়নি।
চূর্ণী লিখেছেন, আমি আজ বিশ্বাস করতে চাই, কর্মফল সে ভুগবেই। কিন্তু আমি এখনো তার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। অন্তত এটা সে করতে পারে। আমাকে যে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সারা জীবনের ক্ষত যা আমাকে সহ্য করতে হয়েছে তার জন্য ক্ষমা তো চাওয়াই উচিত। আমি তার নাম নিতে পারব না এই ভেবে সে হয়ত আরাম করছে। এবং ঠিক এটাই তাকে মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর থেকে সুবিধা নিতে বাধ্য করেছে.. যে তার সারল্যের জেরে তখনো পৃথিবীটাকে চিনে উঠতে পারেনি।
অতীতের সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী আরও লেখেন, আমার মনে আছে আমি বিভ্রান্ত ছিলাম এবং পুরোপুরি অবিশ্বাসের মধ্যে ছিলাম। আমার মনে আছে, যখন আমি পারতাম ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যেতামৃ গলা শুকনো এবং একটি ভারী হৃদয় নিয়ে, সাহায্য চাওয়ার মতো কেউ ছিল না। আমি বিধ্বস্ত থাকতাম এবং ভয়ে কাঁপতাম কারণ আমার নিষ্পাপ মন তাকে বিশ্বাস করেছিল।
চূর্ণী তার পোস্টে জানিয়েছেন, সেই অপরাধী এখনো বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিনেত্রী তার পোস্টে জানিয়েছেন, হয়ত সেই অপরাধীর যৌন বিকৃত স্বভাব পরিবর্তিত হয়েছে। তবে চূর্মীকে তার ভালোমানুষির অভিনয় আজও ক্রুদ্ধ করে তোলে। এই পোস্ট সেই নির্যাতনকারীর কাছেও পৌঁছাবে বলে বিশ্বাস তার। চূর্ণীর আশা, সেই মানুষ রূপী পশু নিশ্চয়ই বুঝবে, তিনি ছোট থাকতে পারেন, তবে কোনো কিছু ভোলেননি। চূর্ণী তার পরিচালক-স্বামী কৌশিকের কাছে কিছুই লুকিয়ে রাখেননি। কৌশিক স্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।