নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বছর এ কলেজ থেকে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও ভকেশনাল বিভাগের থেকে প্রায় ৪শ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। কিন্তু ফরম পূরণে ওই কলেজে বোর্ড নিধারিত টাকা চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ কলেজে মানবিক শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে সবোর্চ্চ ৫৮৩৫ ও সর্বনিম্ন ৪৮৩৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। অথচ বোর্ড নির্ধারিত ফি হচ্ছে ১৮২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি ৮৫৫টাকা মোট ২৬৮০ টাকা। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪২৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। অথচ বোর্ড ফি হচ্ছে ১৬২৫টাকা ও কেন্দ্র ফি হচ্ছে ৪৯৫টাকা মোট ২১২০ টাকা। ব্যবসা শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৪হাজার টাকার উপরে নেয়া হচ্ছে। অথচ বোর্ড ফি হচ্ছে ১৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র ফি হচ্ছে ৪৯৫ টাকা মোট ২১২০ টাকা। এ ছাড়াও ভকেশনাল বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ও সর্ব নিম্ন ৫৮৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অথচ বোর্ড ফি হচ্ছে ১১৫০ টাকা ও অন্যান্য ফি হচ্ছে ১০৩৫ টাকা মোট২১৮৫ টাকা।
ফরম পূরণের এই অতিরিক্ত টাকা যোগার করতে গিয়ে অনেক অভিভাবককে ধারদেনা করতে হচ্ছে। অনেক অভিভাবকরা আবার চড়া সুদে টাকা এনে সন্তানের ফরম পূরণ করাচ্ছেন। অনেক পরীক্ষার্থী ধায্যকৃত টাকা যোগার করতে না পেরে কম টাকায় ফরম পূরণের জন্য আবেদন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী সাধ্যমত পরীক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়া চেষ্টা করেছেন। টাকা কমানোর জন্য আবেদনপত্রে সুপারিশ করে দিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে ১৮২৫ টাকা নির্ধারিত বোর্ড ফিরস্থলে অধ্যক্ষ ৬০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করছেন। অর্থাৎ ১৮৮৫ টাকা করে নিচ্ছে। কোচিং ক্লাস অবৈধ হলেও কোচিং ফির নামে ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য খরচ নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। অথচ কোন সময়ই এ কলেজে কোচিং করা হয়নি।
এব্যাপারে বগা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ন কবির বলেন, ফরমপূরণের বোর্ড নির্ধারিত টাকার সাথে পরীক্ষার্থীদের বকেয়া বেতন, সেশন ফি, প্রস্তুতি পরীক্ষা ফিসহ অন্যান্য ফি যোগ হওয়ায় টাকার পরিমান বেশী মনে হচ্ছে। তবে বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত ৬০ টাকা করে, অন্যান্য ২৫০ টাকা ও কোচিং ফি ৫০০ টাকা করে নেয়ার বিষয়ে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।