Home শীর্ষ খবর বেনজীর প্রসঙ্গ কোথায় গিয়ে থামবে

বেনজীর প্রসঙ্গ কোথায় গিয়ে থামবে

লাগাতরভাবে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী বেনজীর প্রসঙ্গ কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনই বলা কঠিন। যদিও বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য দুদক সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন। এপরও বিষয়টি মরুপথে নদীর গতি হারাবার মতো হতে পারে। অথবা হতে পারে দেশে দুর্নীতির ধারার মূল উৎপাটনের সূচনার নজির।
এমনটি হলে সবার চক্ষু খুলে যাবে, অবসরে গেলেও রেহাই নেই! আর সম্ভবত কেবল অবসরে যাওয়ার পর ধরার ধারার সঙ্গে অন্য ধারাও বেশ জোরালোভাবে সংযোজিত হতে পারে। তা হচ্ছে, সরকারি পদে থাকাকালেই ধরার ধারাকে প্রধান এজেন্ডায় নিয়ে আসা এবং সামগ্রিক বাস্তবতায় এটি খুবই জরুরি। বলা বাহুল্য, এ ধারা জোরালোভাবে শুরু করা প্রয়োজন পুলিশ দিয়েই। কারণ, সরকারকে মানুষ বিবেচনা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানদণ্ডে। এ ক্ষেত্রে প্রধান হচ্ছে পুলিশ। এই এলিট শ্রেণি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা কিন্তু দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। প্রধানত দুই শ্রেণির কাছে মানুষ অসহায় অবস্থায় যায়। এক. ডাক্তার। দুই. পুলিশ। অথচ এই দুই শ্রেণিকে সব সরকারের আমলেই পিঠ চুলকানো কালচার চলে আসছে। আর পুলিশ রবীন্দ্রনাথের কবিতার তালগাছের অবস্থায় আছে। আবার এ কিন্তু এক ধরনের পরিস্থিতিগত উদ্ভূত বাস্তবতা।
আমাদের পুলিশের সৃষ্টি ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ রাজের নানান প্রয়োজনে, প্রধানত দমন পীড়নের জন্য। কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে, জন্মকালীন ধারা থেকে পুলিশ মুক্ত হতে পারেনি। বরং ক্রমে এই বাহিনীকে অতিব্যবহার বেড়েছে এবং তা প্রধানত হচ্ছে প্রতিপক্ষ দমনের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান আমলে বলতে গেলে এক রকম বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আর এই প্রবণতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো সরকারই বেরিয়ে এসেছে অথবা চেষ্টা করেছে- এমনটা গঞ্জিকাসেবীর পক্ষেও কল্পনা করা কঠিন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য ’৭৫-এর থিঙ্ক ট্যাংকের প্রেসক্রিপসনে জামায়াত-বিএনপি সারা দেশে যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে পুলিশকে অধিকমাত্রায় মারমুখী করা ছাড়া রাষ্ট্রের হয়তো আর কোনো বিকল্প ছিল না। এমনটাই অনেকেই মনে করেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
# বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত ১৬ মে ২০১৪,  শিরোনাম, “নজিরবিহীন বেনজীর এবং আমাদের পুলিশ”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

শিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা শিগগিরই: শিবির সভাপতি

দখিনের সময় ডেস্ক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যে সেক্রেটারিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে...

সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার

দখিনের সময় ডেস্ক সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীকে রাজধানীর আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার রাজধানীর...

শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

দখিনের সময় ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বাড়ির সামনে থেকে তাহমিনা আক্তারের (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত...

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ

দখিনের সময় ডেস্ক: রাজধানীর পল্লবীতে শামসুন্নাহার (৫২) নামের এক নারীকে নিজ হাতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ঘাতক স্বামীর নাম মোখলেছুর রহমান (৫২)।...

Recent Comments