Home মতামত আমজনতা মাঠের কোতয়ালদের কাছে যায়, কেবিনেট সচিবের কাছে নয়

আমজনতা মাঠের কোতয়ালদের কাছে যায়, কেবিনেট সচিবের কাছে নয়

পুলিশের পিছু ছাড়ছে
না অঘটনের খবর
অঘটনের খবর যেনো পুলিশের পিছু ছাড়ছে না। সঙ্গে আছে হৃদয়বিদারক ঘটনাও। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে কেন্দ্র করে আমাদের পুলিশ আলোচনার কেন্দ্রে ঘুরপাক খাওয়ার মধ্যেই ৮ জুন দিবাগত রাতে ঘটলো হৃদয়বিদারক এক ঘটনা। পুলিশ সদস্যের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাও খোদ রাজধানীতে, এবং খুবই সংবেদনশীল ডিপ্লোমেটিক জোনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি বর্ষণকারী পুলিশ কনস্টেবল মানসিকভাবে বিপর্যন্থ ছিলেন।
গণমাধমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, সংবেদনশীল অই এলাকায়ও পুলিশকে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, অতীতে ১৮/২০ ঘণ্টা ডিউটি করা ছিল সাধারণ ব্যাপার। এর পরও ঘুমাবার জন্য খালি চৌকির সন্ধানে পুলিশ সদস্যদেরকে বালিশ নিয়ে ছোটাছুটি করতে হতো। সেই অবস্থা থেকে নিশ্চয়ই অনেক উত্তরণ ঘটেছে। এরপরও প্রধানত দুটি প্রশ্ন থেকেই যায়। এক. প্রকারান্তরে চব্বিশ ঘণ্টার কর্ম ঘণ্টার আবর্তে থাকা পুলিশের দিকে রাষ্ট্র কতটা নজর দিতে পেরেছে তুলনামূলক বিচারে? দুই. অনেক অগ্রগতি হওয়ার পরও পুলিশ যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তা কি কর্মচাপের আলোকে যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ? মনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। এ বাহিনীর ইতিহাসও অনেক পুরনো, প্রয় শত বছরের।
কেবল আমাদের পুলিশ নয়, পৃথিবীর পুলিশের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজন অনুভূত হয়। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে ব্রিটিশ পুলিশের সাফল্য শুধু ইউরোপ নয়, সাড়া ফেলে আমেরিকায়ও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের আদলে নিয়ইউয়র্কে গঠিত হয় নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ। এদিকে ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর ব্রিটিশ সরকার ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাসকৃত আইনের অধীনে ভারতবষের্বে প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠন করে। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসেবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসেবে সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশদের সেই ধারায়ই বিভিন্ন পট পরিবর্তেনের ধারায় বাংলাদেশ পুলিশ।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দেয়। আর গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ অকল্পনীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। নিরপেক্ষভাবে দেখলে, সক্ষমতার বিচারে আমাদের পুলিশ দেশের গর্বের বাহিনী। এত কিছুর পরও পুরনো বলয়ের বাইরে পুলিশ খুব একটা আলোচিত হয় না। বরং কিছুকিছু ঘটনা পুলিশের গৌরবের পতাকায় কালিমার ছাপছোপ দিয়ে দেয়। এর দিগন্ত প্রসারিত উদাহরণ হচ্ছে নজিরবিহীন বেনজীর প্রসঙ্গ।
সারাদেশ যেন বেনজীরময়
আলোচনার তুঙ্গে ওঠা নজিরবিহীন বেনজীর অতি সম্প্রতি আবার আলোচনায় এসেছেন। অবশ্য বেনজীর আহমেদ চাকরি জীবনের প্রায় আধা সময়ধরে আলোচনায় ছিলেন। আলোচনার কেন্দ্রে চলে যান শাপলা চত্বরে হেফাজতের রহস্যজক সমাবেশকে অপসারণের সাফল্যকে কেন্দ্র করে। তখন তিনি র‌্যাবের ডিজি। এরপর থেকে আলোচনা তাকে আর পিছু ছাড়েনি। এমনকি আইজিপির পদ থেকে বিদায়কালেও তিনি আলোচনা-সমালোচনার বোঝা মাথায় নিয়ে গেছেন। আর এই আলোচনার বোঝার নিচে তার চাপা পড়ার দশা হয়েছে। তাকে নিয়ে আলোচনার প্লাবনে সারাদেশ যেন বেনজীরময় হয়ে গেছে। ভাবখানা এই, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জাতি জেগেছে, দেশে আর কোনো সমস্যা নেই। যেন, রিমেল দেশের একটি বিশাল অংশকে লন্ডভন্ড করে দেয়নি। বিপুল সংখ্যক কৃষকরা হয়নি সর্বহারা। এসব নিয়ে মৃদু আলোচনা স্বল্প সময়ের মধ্যেই যেন থিতিয়ে গেছে, ছাইচাপা আগুনের মতো। অথবা লজ্জাবতী গুল্ম।
নজিরবিহীন বেনজীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে মানুষ যা ভেবেছিল তার উল্টোটা ভাবছে এখন। এবং এর বিরূপ প্রভাব নিয়েও ভাবা হচ্ছে। পুরো পুলিশ বাহিনীই যেন বেনজীরের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। এ ইস্যুতে দুই রকম বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। শুদ্ধতার তাগিদ এবং অন্যরকম আকাঙ্ক্ষা লাইমলাইটে চলে এসেছিল। আর এখন কোনোকোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, “আরে দূর, সবই হচ্ছে আইওয়াশ, পুলিশ যেমন ছিল তেমনই থাকবে!” সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনী যেন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এমনকি হিটঅ্যালার্ট চলাকালে রাস্তায় দাঁয়িড়ে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যের প্রতিও ঘৃণা প্রকাশ করার অবাঞ্ছিত প্রবণতা দেখা গেছে তখন। পাবলিক পারসেপশন সৃষ্টি হয়েছিল, পুলিশ মানেই খারাপ, ঘৃণার কেন্দ্র। কিন্তু বাস্তবতা তো মোটেই তা নয়। পুলিশে দক্ষতা-সততা-মানবিকতার অসংখ্য উদাহরণ আছে। এর কিছু আছে জনতার জানার বাইরে, কিছু আছে অতি প্রকাশ্যে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পুলিশ বহিনীর মহান ভূমিকা আলোচনার বাইরে রাখলেও অনেক ঘটনা আছে যা হয়তো প্রমাণ করে, পুলিশ আসলেই জনতার। বিশেষ করে, করোনাকালে আক্রান্ত জননীকে ছেড়ে যখন পালিয়েছে অনেক প্রিয় সন্তান, জানাজায়ও শরিক হতে চায়নি। অনেক চিকিৎসক ছুটেছেন উল্টো দিকে, যেন ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা!’ সেই সময় পুলিশ কিন্তু মাঠে ছিল, ছিল মানুষের প্রয়োজনে। এই অবস্থা জনতার জানা। কিন্তু জনতা যা জানে না, তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে, ‘ধরা পড়লে জামিন নেই’- প্রবচনের মতো অপরাধের ঘটনা ধরা পড়লে বিভাগীয় কাঠামোর মধ্যেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি। এই ধারার এতোটা কিন্তু নেই সরকারের অন্যকোনো চাকরিতে। অবশ্য দেশ রক্ষা বাহিনীর বিষয়টি আলাদা। সেখানে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অনেক কঠোর।
প্রিয় কন্যার বাসায় যাওয়া বন্ধ
করেদিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা
পুলিশ বাহিনীর শৃংখলার প্রয়োজনে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বিভিন্ন ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চাপও কিন্তু কম নয়। এর মধ্যে একটি উদাহরণ কেউকেউ জানা। তবে এখানে নাম প্রকাশ না করাই ভালো। নাম প্রকাশ করলে দুই রকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এক. অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর গ্রহণকারী পুলিশ কর্তাটি বিব্রত হতে পারেন। দুই. কারো মনে হতে পারে, তৈল মর্দন চলছে। আর এটি মনে করা হলে তা খুব বেশি অনুচিত বলে বিবেচনা করার উপায় নেই। কারণ আদিকাল থেকে সবকিছুই তো তৈলময়। এ ব্যাপারে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল বিষয়ক বিখ্যাত রচনা তো আছেই। কাজেই বাতেনে থাকা উল্লেখিত দুই পুলিশ কর্মকতার নাম বাতেনে রেখেই ঘটনাটি সংক্ষেপে উল্লেখ করা যাক।
অবসরে থাকা উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তা চাকরি জীবনে সৎতা, দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তাকে বলা হয় পুলিশ বাহিনীর আইকন। যেখানে মো. আলমগীর হোসেনের মতো একজন পুলিশ ইন্সপেক্টরেরও পাঁচখানা বাড়ি থাকার উদাহরণ অসংখ্য, সেখানে অবসরের পর উিিল্লখিত অতিরিক্ত আইজিপি উঠেছেন ভাড়া বাড়িতে। জীবন সায়াহ্নে এসেও আছেন ভাড়া বাড়িতেই। কেউ কেউ জানেন, এই ফ্লাটের মালিক একজন সাবেক আইজিপি। সাবেক এডিশনাল আইজিপির ভাড়া থাকার বিষয়টি ‘টাকা কামাই করার অযোগ্যতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন কেউ। কিন্তু বাস্তবতা মোটেই সেরকম নয়। তিনি ছিলেন চিন্তা-চেতনা-অনুশীলনে আপদমস্তক সৎ।
নাম ক্রকাশ না করা উিিলখিত পুলিশ কর্মকর্তা প্রিয় কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন সুদর্শন এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। কিন্তু এক পর্যায়ে তার মনে হলো, তিনি যা ভেবে কন্যাদান করেছেন বাস্তবে ততটা বিরাজমান নয়। জামাই রত্নটি পুলিশের প্রচলিত গড্ডলিকা প্রবাহে কিছুটা হলেও আছেন। এই মনে হওয়া থেকেই তিনি বেঁকে বসলেন। কিন্তু দানকরা কন্যাতো আর ফেরত নেওয়া যায় না। বলাই তো হয়, ‘স্বত্ব ত্যাগ করিয়া দান করিতে হয়, ফেরত হয় না।’ এ অবস্থার পুলিশ কর্মকর্তাটি তার আদরের কন্যার বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। বাবার এই সিদ্ধান্তে কন্যা বিরক্ত হলেন তার স্বামীর ওপর। আর স্ত্রী বিরক্ত হলে স্বামীর যে কী দশা হয় তা সবারই কম বেশি জানা। শ্বশুরের সিদ্ধান্তে শ্বশুর কন্যার চাপে নবীন পুলিশ কর্তাটি নিজেকে অনেকটই সামলে নিলেন। তিনি বর্তমানে একটি মেট্রোপলিটনের কমিশনার পদে আছেন। তবে শুদ্ধতা ও দক্ষতার মানদন্ডে তিনি পুরোমাত্রায় শ্বশুরের সারিতে দাঁড়াতে পেরেছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে তার বিষয়ে বদনামও শোনা যাচ্ছে না।
এরকম পুলিশ কর্মকতা-সদস্য অসংখ্য না থাকলেও একেবারে কম নয়। কিন্তু তারা আলোচনায় আসেন না। আলোচনায় আসেন বেনজীর-মাঝি-মিজান-সাইফুল-প্রদীপ-নূরুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেনরা। সাধারণত এদের দিয়েই পুলিশ বাহিনীকে পরিমাপ করা হয়। এ ধারা থেকে উত্তরণ খুবই জরুরি। আর এই প্রয়াস যে একেবারে নেই, তা কিন্তু নয়। প্রয়াস আছে। যার প্রভাবে এখন ফাঁসির দন্ড নিয়ে প্রদীপ কারাগারে। কারাগারে আছেন ডিআইজি মিজান। আর আলমগীর হোসেন অবস্থা বেগতিক দেখে বরিশাল মেট্রোপলিটান ডিবি ওসির লোভনীয় পদের মায়া ছেড়ে বদলির ব্যবস্থা করে অন্যত্র গিয়েছেন। যেখানে সাধারণত কেউ যেতে চায় না। সিংহের রাজত্ব থেকে অন্যত্র উল্লুকের আশ্রয় গ্রহণের সনাতনী কৌশল। কিন্তু এরপরও এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। ৩০ মে মোঃ আলমগীর হোসেনকে গুরুদন্ড দিয়ে চাকুরি থেকে বাধ্যতামূলক আবসরে পাঠানো হয়েছে। এ রকম দৃষ্টান্ত সিভিল প্রশাসনের অন্য বিভাগে কী আছে?
আমজনতা মাঠের কোতয়ালদের কাছে
যায়, কেবিনেট সচিবের কাছে নয়
প্রবচন আছে, পচন শুরু হয় মাছের মাথায়। আবার মাছের মাথা থেকে লেজ যেমন, তেমনই লেজ থেকেও মাথার একটি ইকোয়েশন আছে। ভাইরাস আক্রান্ত জীবন্ত মাছের পচন কিন্তু শুরু হয় লেজ থেকেই। কেবল মাছ নয়, মানুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। মানুষের মাথার মতো পাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের পা দিয়ে পচন উপরের দিকে ওঠে। এ ছাড়া পা পুরো শরীরের ভার বহন করে, সচল রাখে।
মাথা ও পায়ের সমন্বয়ের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে প্রথমে ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ইন্সপেক্টর পদের দিকে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন অনেকেই। ফলে ‘ভুটান মার্কা’ অথবা রানারের মতো পিঠে টাকার বস্তা নিয়ে ছোটার প্রবণতার কাউকে আইজিপি করলে তা সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। আর বেনজীরের মতো বস্ত্র হলে তো মাশাল্লা, আর কোনো কথাই নেই! আর ইন্সপেক্টর থেকে ওসি নিয়োগের সময় হেলাফেলা করলে অথবা টাকার বস্তার দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিলে সর্বনাশের ধারা প্রতিহত করা হয়তো সম্ভব হবে না।
বলা হয়, পুলিশের কাঠামোতে ইন্সপেক্টর এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল হচ্ছে মূল পারফরমার, মাঝে সবাই সুপারভাইজার। এই বাস্তবতায় পুলিশের মাথা ও পা ঠিক থাকলে মাঝখানের সুপাভাইজাররা অন্য ভাইসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে বাধ্য। এ প্রসঙ্গে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তো প্রকাশ্যেই বলেন, মামলা রেকর্ড করার এখতিয়ারের কারণে থানার ওসি হচ্ছে পুলিশে মূল ক্ষমতার কে›ন্দ্র। পাঁচ জেলায় এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সুপারসিটেড এই বরিশালে কর্মরত এই পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, মামলা রেকর্ড করার এখতিয়ার নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। পঁচিশ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তার অভিমত, পুলিশ নিয়ে অনেক কিছু করার আছে, করা প্রয়োজনও।
অবশ্য, পুলিশ নিয়ে কী করা প্রয়োজন তা সরকারের নীতি নির্ধারকরা নিশ্চয়ই ভালো জানেন এবং নজরও রাখেন হয়তো। এই রাখার একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু এর অনেকটাই সীমাবব্ধ উপরের দিকে। এমনটাই মনে হয় অবস্থাদৃষ্টে। তবে এর প্রভাব মাঠে কতটা পড়ে তা বলা মুশকিল। তবে বাস্তবতার আলোকে মাঠের অবস্থাকে ভালো বলা যাবে না। হতাশাজনক বললেও হয়তো খুব বেশি বলা হয় না। তা হোক পুলিশ অথবা অন্য কোনো বিভাগে। আর আমজনতা কিন্তু মাঠের কোতয়ালদের কাছেই যায়, কেবিনেট সচিবের কাছে যেতে পারে না!
# ঢাকাটাইমস-এ প্রকাশিত, ২৩ জুন ২০২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ভারতে কথিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১১৬ জনের

দখিনের সময় ডেস্ক: ভারতের উত্তরপ্রদেশে ‘ভোলে বাবা’ নামক কথিত ‍এক ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। এছাড়া কিছু...

দিনদুপুরে এলজিইডি কর্মচারীর মাতলামী, এক নারীকে হেনস্থা

দখিনের সময় ডেস্ক: মাতাল অবস্থায় এক নারীকে হেনস্তা ও অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যসহকারী মো. রেজাউল হক কিরনের বিরুদ্ধে।...

বরিশাল নগরীতে এক পুলিশের তোলাবাজী চরমে

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল নগরীতে এক পুলিশের তোলাবাজী চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে বিএমপি‘র এয়ারপোর্ট থানায় কর্মরত এই এএসআই পুরো নগরজুড়ে তোলাবাজী করেন। এমনকি বরিশাল মেট্টোপলিটন এলাকা অতিক্রম...

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এ প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। প্রশাসক নিয়োগ...

Recent Comments