দখিনের সময় ডেক্স:
শহরা বানু, বয়স ৬৫ বছর। ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনি সবই ছিল তার সংসারে। কিন্তু বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত শহরা করতে পারতেন না সংসারের কোনো কাজ। এ নিয়েই ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হইতো প্রায়ই। বউয়ের কথা শুনে ছেলেও তাকে গালমন্দ করতো। কিন্তু এক দিন শুধু গালিগালাজই নয়; নিজের মাকে প্রচণ্ড মারধোর করে ছেলে। মারের চোটে ভেঙে যায় বৃদ্ধা মায়ের ডান হাত।
এতেই ক্ষান্ত হয়নি ছেলে এবং ছেলের বউ। মাকে বের করে দিয়েছে নিজের বাড়ি থেকেই। এরপর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভাঙ্গা হাত নিয়েই কাটিয়েছেন ৬ মাস। গত এক বছর ধরে শহরার ঠিকানা ঢাকার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে।
এবার ঈদের দিনে গণমাধ্যমের কাছে নিজের জীবনের কষ্টের স্মৃতিগুলো বলতে বলতে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিলেন শহরা বানু। বলেন, ‘পোলাডা আমারে মারছে। হাত টা ভাংঙে দিছে। নাতিরাও মারতো। এখন তো ওরা ভালোই আছে।’
ওই বৃদ্ধাশ্রমের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘হাত ভাঙা এবং অনেক বেশি অসুস্থ অবস্থায় শহরা বানুকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে পড়ে ছিলেন৷ সেখানে থেকে তাকে এক বছর আগে আমরা এই বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে এসেছি। এরপর তার চিকিৎসা করিয়েছি। এখন তার শরীর কিছুটা সুস্থ। কিন্তু ভাঙা হাতটি আর ভালো হয়নি।’