দখিনের সময় ডেক্স:
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেন্থা করার বিষয়ে আজ মঙ্গলবার(১৭মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাসায় আসার ঘণ্টা দুয়েক পরে আমার কাছে খবর আসলো যে একটা ইনসিডেন্ট ওখানে হয়েছে। আমি যতটুকু শুনেছি সেটাই বলি, ওখানে সচিব সাহেবের পাশে যে রুম আছে সে রুমে ফাইল রাখা আছে। সচিব বা তার পিএসরা মিটিংয়ে ছিল রুমে ছিলেন না, রুম খালি ছিল।
সেখানে কোনো এক সাংবাদিক ওই রুমে ঢুকে ওই ফাইলের ছবিগুলো তুলছিলেন। এবং কিছু ফাইল উনি নিজে নিয়েছিলেন। এর মধ্যে খালি রুম ছিল তখন ওখানকার যারা ডিউটিতে ছিল, তারা এসে দেখলো এক ব্যক্তি ওখানকার ফাইলের ছবি তুলছে, ফাইল কিছু নামিয়ে ব্যাগে ও পকেটেও নিয়েছে। তো আমাদের মহিলারা খবর পেয়ে এসে তাকে ধরেছে যে, আপনি কেন এটা করলেন, তো তখন তার কাছ থেকে কাগজ এবং ফাইলগুলো নিয়েছে। এরমধ্যে পুলিশকে খবর দিছে যতদূর আমি জেনেছি।
জাহিদ মালেক বলেন, পুলিশের এসপি আসছে, অন্যরা আসছে, তখন তারা এটা টেকওভার করছে। তখন ওনারা মোবাইলটাও নিয়েছে, মোবাইলেও অনেক ছবি পেয়েছে। এখন এই জিনিসটাও দুঃখজনক। কারণ, এ ফাইলগুলো ছিল টিকা সংক্রান্ত, আমরা যে রাশিয়ার সাথে টিকা চুক্তি করছি, চায়নার সাথে করছি এবং সেগুলা নন ডিসক্লোজার আইটেম। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি যে, আমরা এটা গোপনে রাখবো; বলবো না। তো সেগুলো যদি বাইরে চলে যায় তো আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম। আমরা টিকা নাও পেতে পারি, তারা আমাদের টিকা নাও দিতে পারে। কাজে এটা দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এটা একটা সিক্রেট ডকুমেন্ট, সেটা বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি। আপনারা চাইলে তো আমরা সবই বলি।
রোজিনাকে আটকে রাখার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের সাথে যারা আসছে ওনারা তার সাথে… সে তো শুয়ে পড়ছে আমরা যেটা দেখছিলাম। শুনেছিলাম শুয়ে পড়ায় তাকে নিতে পারছিল না, বের করতে পারছিল না। এটাতেই অনেকক্ষণ সময় গেছে এটাই আমাকে বলা হয়েছে। এবং কোনো শারীরিক আঘাত বা নির্যাতন কিন্তু হয়নি, এ কথাটা সঠিক না। একজন সিনিয়র অফিসার সে, এডিশনাল সেক্রেটারি এরাই ওনার সাথে পার্সোনালি ডিল করেছে। পরে সিক্রেট বিষয় আসায় পুলিশ আসছে।