Home শীর্ষ খবর ভবিষ্যতে সাংবাদিকরা যেন হেনস্তার শিকার না হন, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবো: তথ্যমন্ত্রী

ভবিষ্যতে সাংবাদিকরা যেন হেনস্তার শিকার না হন, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবো: তথ্যমন্ত্রী

দখিনের সময ডেক্স:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে একটি পক্ষ সবসময় ঘাপটি মেরে থাকে। কোনো ইস্যু পেলে সেটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের অপচেষ্টা করে এবং তা পুঁজি করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমস্ত শক্তিকে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই, আমাদের কোনো কর্মকাণ্ড যেন তাদের হাতে হাতিয়ার তুলে না দেয়। এবং একইসাথে কোনো সাংবাদিক যাতে ভবিষ্যতে হেনস্তার শিকার না হয়, সেবিষয়েও আমরা সবসময় সচেষ্ট থাকবো।

আজ রবিবার ( ২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাব, ডিইউজে, ডিআরইউ, বিএসআরএফ, বিজেসি ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাথে মন্ত্রী মতবিনিময় করেন ড. হাছান মাহমুদ। দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পেশাগত দায়িত্বে ফিরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোজিনা ইসলামের জামিনে সন্তোষ প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের কোনো বিরোধিতা করেনি অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষ চেয়েছে তার জামিন হোক। এজন্য আপনাদের সাথে আমিও সন্তোষ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি অবশ্যই অনভিপ্রেত ছিল এবং আপনারা মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এখন জামিন হয়েছে, সুতরাং অবশ্যই আপনারা আবার আগের মতো পেশাগত কাজে ফেরত যাবেন সেটিই আমার প্রত্যাশা।

বিশ্বের বহু দেশে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট বিদ্যমান উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘১৯২৩ সনে যে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট করা হয়েছিল, সেই একই আইন বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত এবং পাকিস্তানেও বিদ্যমান। এছাড়া কমনওয়েলভুক্ত আরো ৪০টি দেশ ছাড়াও কানাডা ২০০১ সালে আগের আইনকে পরিবর্তন করে সিকিউরিটি অভ ইনফরমেশন অ্যাক্ট করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট নামে কোনো আইন না থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইস্পিনাল অ্যাক্ট ১৯১৭ বিদ্যমান আছে। আয়ারল্যান্ডে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯৬৩, হংকংয়ে অফিসিয়াল সিক্রেসি অডিনেন্স ১৯৭৭, মালয়েশিয়ায় অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯৬২, সিঙ্গাপুরে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯৩৫ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরণের আইন আছে।’

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তার হাতে গড়া সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার সাংবাদিক উপকৃত হয়েছেন। তার গঠিত তথ্য কমিশনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তথ্যের জন্য আবেদনের পর কোনো ক্ষেত্রে যদি মন্ত্রণালয় তথ্য না দিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও কমিশন গ্রহণ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments