দখিনের সময় ডেস্ক:
জিডি তদন্তের নামে গৃহবধূকে থানায় ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এদিকে বিষয়টিকে অনেকেই ষড়যন্ত্রমুলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। মামলার বিষয়ে এসআই আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত করতে যাওয়ায় মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, যৌন হয়রানির অভিযোগে এক গৃহবধূ বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ পর সোমবার(৩১মে) বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার বাদী জানান, পুলিশের চাপের মুখে এতদিন কাউকে বিষয়টি জানাতে পারেননি। বাদীর আইনজীবী আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে, নগরীর ধান গবেষণা রোড এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ গত বছরের গত ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। তা তদন্তের দায়িত্ব পান কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আসাদুল ইসলাম। তিনি জিডির বিষয়টি তদন্তের জন্য বাদীকে থানায় ডেকে নেন। গত ১৬ অক্টোবর বাদী থানায় গেলে এসআই আসাদুল নানা অজুহাতে তার রুমে বাদীকে বসিয়ে রাখেন। এরপর দস্তখত (স্বাক্ষর) গ্রহণের অযুহাতে এসআই আসাদুল বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন এবং ঘাড়ে চুমু দেন। এর প্রতিবাদ জানালে মামলার আসামি বাদীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরেন এবং বিবাহ করার আশ্বাস দেন। এ সময় বাদীর স্বামী আসলে এসআই আসাদুল ওই নারীকে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনার পরপরই বাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ওসি তখন জানান, অভিযোগের বিষয়ে একজন নারী এএসআই তদন্ত করবেন।