Home শীর্ষ খবর সাহান আরা আবদুল্লাহর প্রথম প্রয়ান দিবস আজ, তুমি রবে নীরবে

সাহান আরা আবদুল্লাহর প্রথম প্রয়ান দিবস আজ, তুমি রবে নীরবে

আলম রায়হান:

মুক্তিযোদ্ধা,  শহীদ জননী রাজনীতিক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক বেগম সাহান আরা আবদুল্লাহর প্রথম প্রয়ান দিবস আজ। গত বছরের ৭ জুন, আজকের দিনে অনন্তের পথে চলে যাতও করেছেন তিন। হঠাৎই বরিশালবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছেন মহীয়সী এই নারী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল কালরাতের প্রত্যক্ষদর্শী ও সন্তান হারানো বেদনাময়ী মা  বেগম সাহান আরা আবদুল্লাহ।

ছাত্র রাজনীতির ধারারাবাহিকতায় রাজনৈতিক পরিবারের পুত্রবধূ হিসেবে শ্বশুর-স্বামীর রাজনৈতিক সাহচার্যে সাহান আরা আবদুল্লাহ  হয়ে উঠেছিলেন তুখোড় রাজনীতিক। যে কারণে তাঁর মৃত্যুতে শূন্যতা পরিবার-পরিজন ও শুভাকাংখিদের গন্ডি ছাড়িয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে অনক দূর। তার মৃত্যুতে মানুষ যত কেঁদেছে, তার উদাহরণ খুববেশী নেই বরিশালে। তিনি ছিলেন জীবন্ত এক কিংবদন্তি।

ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন সাহান আরা আবদুল্লাহ। ছিলেন তৎকালীন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি। তাই তো, আমৃত্যু তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এছাড়াও, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আপনজন। বেগম সাহান আরা কালউত্তীর্ণ রাজনৈতিক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সহধর্মিণী এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মা।

স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাঙালি জাতির জন্য রচিত হয় কলঙ্কময় অধ্যায়, ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি, ১৯৭৫ । সাহান আরা আবদুল্লাহ সেই ১৫ আগস্ট কালরাতের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। শুধু তাই নয়, সেদিন তিনি ঘাতকের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বেঁচে গিয়েছিলেন অলৌকিভাবে। তবে আমৃত্যু শরীরের বহন করেছেন ঘাতকদের বুলেট। যা ছিলো এক যন্ত্রনার অভিজ্ঞতা। আর এ হৃদয়াবিদারক অভিজ্ঞা হয়েছে তাঁর, ১৫ আগস্টের সেই রাত। ঘাতকদের গুলিতে সেদিন তাঁর প্রথম শিশু সান্তান সুকান্ত বাবু চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এ দৃশ্যও দেখতে হয়েছে তাঁকে। গুলি লাগার পর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণেই মৃত ভেবে তাঁকে ফেলে রেখে গিয়েছিল ঘাতক দল। এটি ছিলো অলৌকিক ঘটনা। আর অনেকটা  অলৌকিক ভাবেই বেঁচিয়ে গেয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় সন্তান, বিসিসির  আজকের মেয়র যুবরত্ন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments