দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভালো দামে পশু বিক্রির আশায় থাকেন ছোট খামারিরা। এবারও সেই আশায় চাষীরা। কিন্তু করোনার কারণে এবার কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে চিন্তিত তারা। সঠিক মূল্য না পেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশংকা করছেন।
খামারি আকবর আলী বলছিলেন, ২০১৩ সালের দিকে আমার সংসার চালানো কষ্টকর হলে মোটাতাজাকরণ করে বিক্রির জন্য দেশি দুটি গরু ৬৮ হাজার টাকায় কিনি। এরপর বড় করে বিক্রি করি। এরপর সাত বছর পার হলো। এই সময়ের মধ্যে প্রতিবারেই লাভ হওয়ায় মোটাতাজাকরণে আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। এরই মধ্যে পাকা টিনশেড বাড়ি করেছি। একটি বড় টিনশেড নির্মাণও শুরু করেছি। পুঁজি হয়েছে ১০ লাখ টাকা। তাদের উন্নত জাতের ঘাস, চক্কর, গমের ভূসি, খড়, ধানের গুড়া এসব দেশীয় খাবার দেই। এবার প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করে ৪টি গরু পালন করছি। এর মধ্যে ২৩ মণ ওজনের বড় প্রিজিয়াম ষাঁড়টি বিক্রির জন্য বড় করেছি।
কোরবানির জন্য তৈরি ‘ত্যাগ’ নামের ষাঁড়টি তার একবছর বয়সে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এখন তার বয়স আড়াই বছর। দাম ১০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে প্রতিপালন করা হচ্ছে। এই ষাঁড়টি দেখতে অনেকে আসছেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে কোরবানির বাজার নিয়ে শঙ্কায় আছি আমিসহ অনেক খামারি।