খালিদ সাইফুল্লাহ ॥
র্যাব – ৮ এর অধিনায়ক জামিল হাসান বলেছেন, যেকোন মূল্যে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হবে। মানুষ কথা না শুনলে তাহলে এক পর্যায়ে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হবো। তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তাহলে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে।
লকডাউন কার্যকর করতে র্যাব – এর চলমান অভিযানে আজ সোমবার (৫ জুলাই) বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ কথা বলেন র্যাব -৮ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) জামিল হাসান।
র্যাব -৮ এর অধিনায়ক জামিল হাসান বলেন, জাতির মঙ্গলের জন্যই লকডাউন দেয়া হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। এই সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য লকডাউন কার্যকর করার জন্য যেকোন কঠোর ব্যবস্থায় আমরা যাবো এবং যেতে বাধ্য হবো। আমরা সেই মনোভাব নিয়েই মাঠে নেমেছি। সকল মানুষ ঘরে থাকবে। কেবল মাত্র সরকারি নির্দেশনায় যারা বের হতে পারবে তারাই বের হবে। অন্য কেউ নয়।
র্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, মাঠে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এই লকডাউনের আদেশ না মেনে যারাই বাহিরে হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতেও আমরা বাধ্য হবো। জেল-জরিমানা হতে পারে। উপজেলা পর্যায়ে বড় বড় হাট বাজারগুলোতে আমরা টহল ব্যবস্থা জোরদার করে লকডাউন মানাতে আইনী শাসন প্রতিষ্ঠা করবো। আমরা জনগনের স্বার্থেই এই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করবো। আমরা র্যাবের টহল বরিশাল সিটিতে বৃদ্ধি করেছি। শহরের পাশাপাশি র্যাব আজ থেকে নগরীর প্রতিটি অলিতে গলিতে টহল ব্যবস্থা জোরদার করবে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে র্যাবের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাধারন মানুষদের ধরে ধরে বাহিরে বের হবার কারন জানতে চেয়ে সঠিক উত্তর না পাওয়ায় মোবাইল কোর্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি যানবাহন চেক করার পাশাপাশি সঠিক কাগজপত্রও যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে যারা তারা যদি অপারেশন কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে আমরা তাদের খাবারের ব্যবস্থা করবো। তার পরেও সবাই ঘরে থাকবেন।
বিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাব -৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মিজানুর রহমান, স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর আলম।