আয়রন ব্রিজের বরাদ্দে সুপারিগাছের সাঁকো

দখিনের সময় ডেস্ক :

বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আয়রন ব্রিজ নির্মাণের। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেই টাকায় নির্মাণ করা হয় সুপারিগাছের সাঁকো। এ ঘটনা ঘটে বরিশালের বানারীপাড়ায়। জানা গেছে, বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বানারীপাড়ার উদয়কাঠি ইউনিয়নের পূর্ব উদয়কাঠি মুন্সি বাড়ির সামনে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণের জন্য লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগের বাঁশ ও সুপারিগাছের তৈরি সাঁকো সংস্কার করে চারটি লোহার বিমের ওপর তিনটি সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উদয়কাঠি মুন্সি বাড়ির সামনে নামফলকে ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন ও অর্থায়নে জেলা পরিষদ লেখা রয়েছে।’ এ সংক্রান্ত বরাদ্দে নামফলকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

এ বিষয়ে উদয়কাঠি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বরিশাল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের মুন্সি বাড়ির সামনের খালে আয়রন ব্রিজ নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে আমি এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেই।

জেলা পরিষদে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দিয়ে ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণ করার বিধান না থাকায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজটি পায়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের আয়রন ব্রিজ নির্মাণ না করার বিষয়টি জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি বলে জানান জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, চলমান লকডাউন প্রত্যাহার শেষে অফিস খোলার পরে ঠিকাদারকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরিশাল জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (স্থানীয় সরকার উপসচিব) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আয়রন ব্রিজের জায়গায় সুপারি গাছের সাঁকো নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।