Home অর্থনীতি ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে দেশবাসীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

দখিনের সময় ডেস্ক :

ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রার মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর আগে বিটকয়েন ও অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে সিআইডির কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এরই প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১ বিটকয়েনের বর্তমান দর ৩৩ হাজার ডলারের বেশি। ২০০৮ সালে এই মুদ্রা উদ্ভাবনের পর বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশ এই মুদ্রায় লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নয়। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশবিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

সবার সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন হতে বিরত থাকার বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে যে অবস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের ছিল, এখনও তাই রয়েছে।

সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে যে কোনো ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা দেওয়া ও এ সম্পর্কিত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই।

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডিকে পাঠান। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২- এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা ও এ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিআইডি এমন দু’টি মামলার তদন্ত করছে। এর সূত্র ধরেই সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

রাজনীতিতে রনো ভাইরা আর নেই

রিকশায় না এসে প্রাইভেট কারে আসা এবং ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে থাকার বিষয়ে রনো ভাইয়ের লজ্জিত হওয়ার বিষয়টি আমাকে বহু বছর ধরে বহুবার আন্দোলিত করেছে। ধরাধাম...

যা অছে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টে

দখিনের সময় ডেস্ক: ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে দুবাই শহরে সাড়ে বাইশ কোটি ডলারের সম্পদ কিনেছেন ৩৯৪ জন। তবে আরও বিভিন্ন তথ্যাদি...

পুলিশের খপ্পরে মৌ চাষির ট্রাক, মরেছে পাঁচ লাখ টাকার মৌমাছি

দখিনের সময় ডেস্ক: দিনাজপুর থেকে ট্রাকে করে ২৫১ বাক্স মৌমাছি নিয়ে রাজবাড়ীতে আসছিলেন মৌচাষি মো. খলিফর রহমান। পথে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মনসার বটতলা...

বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে

দখিনের সময় ডেস্ক: বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ হলে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে। এ কথা জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ...

Recent Comments