দখিনের সময় ডেক্স:
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি ও সামনের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে অর্ধশতধিক মুসল্লী দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়াল। রবিবার (৬ সেপ্টেটম্বর) সকাল এবং শনিবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ সেপ্টম্বর)রাত পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদের সামনের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর মসজিদের এসিও বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন দগ্ধ হয়। পরে আশেপাশের লোকজন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৪৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জানান, হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন এসেছিল। তাদের কয়েকজনের শরীরে ৯৯ভাগ দগ্ধ হয়েছে। বাকি রোগী যারা এসেছিল তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধ হয়ে যারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিকৃতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন (মোয়াজ্জেম), আব্দুল মালেক (ইমাম), মোহাম্মদ আজিজ, নিজাম, নাদিম, হুমায়ুন কবীর, ইশ্রাফিল, জুলহাস, ইমাম হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আমজাদ,কাঞ্চন হাওলাদার, জুনায়েদ, ফরিদ, শেখ ফরিদ, সমির, মোস্তফা কামাল, রিফাত, মাঈন উদ্দিন, রাসেল, রাশেদ, নয়ন, আব্দুল বাশার মোল্লা, বাহার উদ্দিন, শামীম হাসান, জুবায়ের, জয়নাল, মোহাম্মদ আলী, সাব্বির, মামুন, মিনার, কুদ্দুস ব্যাপারী, নজরুল ইসলাম, শিফাত, জামাল, ইমরান ও সাহেদ।