Home আন্তর্জাতিক আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খোঁচা দিয়ে যা বললেন পুতিন

আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খোঁচা দিয়ে যা বললেন পুতিন

দখিনের সময় ডেস্ক : 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে হানা দিয়ে ট্রাজেডি ছাড়া কিছুই পায়নি।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার সূদর পূর্বের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন।

পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তানে গত ২০ ধরে উপস্থিত ছিল। এতগুলো বছর তারা সেখানে বসবাসরত মানুষকে সভ্য করার চেষ্টা করেছে। আমেরিকা নিজের দেশের জীবনযাপনের নিয়মপদ্ধতি আফগান জনগণের ভেতর প্রবেশ করাতে চেয়েছে। কিন্তু এর ফলাফল শূন্য।

আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সেনা সোমবার মধ্যরাতে কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এরমধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর আক্রমণে উভয় পক্ষের শুধু প্রাণের ক্ষতি হয়েছে। অন্য জাতির ওপর কখনও ভিনদেশী মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়া যায় না, এটা অসম্ভব।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ে রাশিয়ার উভয়সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা। মার্কিন ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারে তারা একদিকে খুশি, অন্যদিকে তালেবানের উত্থানে মধ্য এশিয়ায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়তে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন।

দেশটিতে ভবিষ্যতে সেনা মোতায়েনে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। আফগানিস্তানে কোনো কিছু করার আগে সেখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দর্শন বিবেচনায় নেওয়া উচিত। পুতিন বলেন, বাইরে থেকে আফগানদের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া কখনও সম্ভব না।

আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট সরকারকে রক্ষা করতে ১৯৭৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেদেশে ঢুকে পড়েছিল সোভিয়েত সেনাবাহিনী। মস্কো তখন বলেছিল, সোভিয়েত সৈন্যরা ৬ মাস থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেদেশে সোভিয়েত সৈন্যরা ছিল দীর্ঘ ১০ বছর।

আফগানিস্তানের সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভেতর দিয়েই জন্ম হয়েছিল তালেবান মোজাহেদীনের মতো জিহাদি বাহিনীগুলোর।

আমেরিকার সহায়তায় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তারা। কোণঠাসা সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে।

এই যুদ্ধে ১৫ হাজার সোভিয়েত সৈন্য এবং ১০ লাখ আফগান মারা যায়। এই ঘটনার দু’ বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments