বিপদসীমার ওপরে বরিশালের ৫ নদীর পানি

দখিনের সময় ডেস্ক :

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন চরাঞ্চল এবং নগরীর নিম্নাঞ্চল।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং ভরা অমাবস্যার জোর প্রভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। এখনো পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দক্ষিণাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টায় ভোলার তজুমুদ্দিনে সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ০.৬২ সেন্টিমিটার এবং বিকাল ৩টায় একই নদীর দৌলতখানে ০.৬৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমা অতিক্রম করে।

একইভাবে বিষখালী নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে সকাল সোয়া ১০টায় ০.৪৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা পয়েন্টে বেলা পৌনে ১১টায় ০.০২ সেন্টিমিটার, বেতাগী পয়েন্টে বেলা পৌনে ১২টায় ০.১ সেন্টিমিটার ও ঝালকাঠি পয়েন্টে দুপুর ২টায় ০.১৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের কঁচা নদীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় ০.১৫ সেন্টিমিটার, পায়রা নদীর বরগুনার আমতলী পয়েন্টে বেলা ১১টায় ০.০৭ সেন্টিমিটার এবং পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে একই নদীর পানি দুপুুর ১২টায় বিপদসীমার ০.১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় বিপদসীমার ০.২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।