বুধবার বিকেলে তেল চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে স্টাফ জুলহাস ও জাহাঙ্গীর। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সেই তেল আবার ফেরত দেয় তারা।
বিকেল ৫টার দিকে একজন গ্রাহক ২৫ লিটারের একটি কন্টেইনারে ১৫ লিটার তেল নেন। এ সময় কৌশলে তাকে সাড়ে ১২ লিটার তেল দেয় ডোস্টের স্টাফ ঝুলহাস ও সোহাগ। গ্রাহক বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানিয়ে বাকি তেল দাবি করেন।
এতে তার উপর চড়াও হয় স্টাফ জুলহাস ও জাহাঙ্গির। বিধিবাম এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিচ্ছিলেন।
হট্রোগোল দেখে এগিয়ে গেলে অবশেষে বাকি সাড়ে তিন লিটার দিয়ে দিতে বাধ্য হয় ডোস্ট পাম্পের স্টাফরা।
এ বিষয়ে সেখানে দায়িত্বরত ক্যাশিয়ার রিপনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এটি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
একাউন্ট্যান্ট জাহাঙ্গির হোসেন তেল চুরির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, এটা কিছুনা, এটা নিয়ে নিউজ করার কিছু নেই।
ডোস্ট ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার পরিচয়ে জাকির হোসন নামে একজন এই নিউজটি না করতে অনুরোধ করেন।
পাশাপাশি কিছু টাকা দিয়ে সাংবাদিককে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, এটি অপরাধ হয়েছে। তাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
এদিকে আরেক গ্রাহক মোঃ সেলিম অভিযোগ করে বলেন, আমি কুয়াকাটা যাওয়ার পথে ডোস্ট থেকে পাঁচ শত টাকার তেল নেই। কিন্তু তেলের মিটার মোটেও নড়েনি। প্রতিবাদ করে কোন লাভ হয়। পড়ে বুঝতে পারি আমাকে পাঁচ শত টাকার পরিবর্তে মাত্র পঞ্চাশ টাকার তেল দিয়েছে। এভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার তেল কম দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে ডোস্ট ফিলিং স্টেশন।
এসব অবৈধ তেল চুরির টাকা স্টাফরা পায় নাকি মালিক পায় ? এমন প্রশ্নের জবাবে এক কর্মচারী বলেন, সব কিছুর ভাগই মালিক / ম্যানেজারকে দিতে হয়।