দখিনের সময় ডেক্স:
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনাকে নিছক চুরি- তা বিশ্বাস করতে নারাজ স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীরা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, অনেক বিষয় সামনে রেখে তারা এগুচ্ছেন। তবে তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে চুরিকে ঘিরেই।
ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে সরকারি বাসায় প্রবেশ। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদাকে। এক সপ্তাহেরও বেশী পার হয়েছে। শুধু চুরিই কারণ তা মানতে নারাজ তার সহকর্মী ও স্থানীয়রা। মেয়রও বলছেন হামলার পেছনে আছে অন্য কারণ।
স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীরা বলছেন, হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে খুন করা। ঘটনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকও বলছেন, হামলার ধরনে হত্যার চেষ্টাই মনে হয়েছে। হামলার প্রথমদিনের স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবি হত্যার উদ্দেশ্যেই ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা করা হয়েছে। তবে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায় ঘটনার কারণ চুরি।
অনেকের মতো এ নিয়ে সন্দেহ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভার কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকেরও। তিনি বলেন, ইউএনওর বাসায় চুরির ঘটনা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কী কারণে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে, তা আরও তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি। ইতিমধ্যে ইউএনওদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন থেকে পুরো উপজেলা কমপ্লেক্স সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। সেখানে সারা রাত পাহারাদার থাকবেন।
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। কোন মহল তার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে পারেনি বলেই মনে হয় এই হামলা করেছে।
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার বলেন, আমরা মনে করি হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা এই হামলার সঠিক বিচার চাই।
চিকিৎসক বলেন, হামলার ধরন বলছে হত্যাই উদ্যেশ্য। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর নেওয়াজ বলেন, তাকে যেভাবে আঘাত করা হয়েছে আমার মনে হয়নি চুরির জন্য এভাবে কেউ কাউকে আঘাত করে। আমার মনে হয় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এভাবে আঘাত করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসিকে প্রত্যাহার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জানান, সময় হলেই ব্রিফিং করে সব জানানো হবে।