দখিনের সময় ডেস্ক :
দলের একশ্রেণির সুবিধাভোগী নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা নিয়ে কোথাও কি কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়? হয় না। প্রশ্ন উত্থাপিত হয় আমাদের নিয়ে, আমাদের কথাবার্তা-চালচলনে মানুষ ব্যথিত হয়, ব্যথিত হয়ে জনগণ শেখ হাসিনা থেকে দূরে সরে যেতে চায়।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করবেন, ক্ষমতাসীন দল করবেন, ক্ষমতায় দাপট দেখাবেন, শেখ হাসিনার অর্জনকে বিসর্জ্জন দিবেন, তাদের এ দল করতে দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এতিমদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এসময় বেসরকারি সেবা সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের আঞ্জুমান শেঠ ইব্রাহিম মোহাম্মদ ডুপ্লেক্স বালক হোম ও এ.বি.এম.জি. কিবরিয়া বালিকা হোমের শিক্ষার্থীদের মাঝে এ সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সুত্রাপুর থেকে পাস করেছিলেন। সেই সুত্রাপুরে দাঁড়িয়ে আমি আপনাদের বলবো, দল করতে গিয়ে যারা নিজের বিবেক-ইমান অর্থের কাছে বিকিয়ে দেয়, বিক্রি করে দেয়, তারা মানুষ হতে পারে না, তারা অমানুষ।
নানক বলেন, টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। একটি কথা আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে নিজের বিবেকে জিজ্ঞেস করেন তো, রাস্তা দিয়ে হাঁটেন, বিয়ে-শাদিতে যান, সুন্নতে খাৎনায় যান, মসজিদে যান, জুম্মা পড়তে যান, কোথাও কি শেখ হাসিনার সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়? বরং প্রশ্ন উত্থাপিত হয় আমাদের নিয়ে, আমাদের কথাবার্তা-চালচলনে মানুষ ব্যথিত হয়, ব্যথিত হয়ে জনগণ শেখ হাসিনা থেকে দূরে সরে যেতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনাকে দূরে সরানো যাবে না। শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী, বিশ্ব নেত্রী।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।