দখিনের সময় ডেক্স:
আহমদ শফীর অনুসারিদের দাবি, জামায়াতিদের সাথে আদর্শিক দ্বন্দ্ব ছিল হেফাজতে ইসলামের। হেফাজতের আমীর আহমদ শফীর মৃত্যু- তার খাটিয়া বহন- শো ডাউন করে জানাজায় অংশ নেয়া নতুন করে আলোচনায় এসেছে হেফাজত-জামায়াত সম্পর্ক। সূত্রমতে আহমদ শফির মৃত্যুতে জামায়াতের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও জামায়াত পন্থী জুনায়েদ বাবুনগরী বলছেন, শুধু জামায়াত নয়, আহমদ শফির জানাজায় সব দলই অংশ নিয়েছে। সংগঠনটি জামায়াতের নিয়ন্ত্রনে চলে যাবার আশংকা করছেন অনেকেই।
কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজত ইসলাম আর জামায়াতের মতের অমিল অনেক দিনের। হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল না হলেও বিএনপি জামাত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী দলগুলোর নেতারা এই সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাছির হায়দার বাবুল জানান, আমরা দেখেছি বা শুনেছি এই ঘটনায় জামায়াত শিবিরের অনেক নেতা-কর্মী জানাযার আগে পরে সক্রিয় ছিলেন। ।
হেফাজত আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধীতার মধ্যে দিয়ে। আর মানবতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলে জমায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। একারণে হেফাজতের শাপলা চত্বরে অবস্থানে সমর্থন দেয় জামায়াত। পরে আহমদ শফি সরকারের কাছ থেকে কিছু দাবি আদায়ে সক্ষম হলে হেফাজতের একটি অংশের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ ঘটে।
আহমদ শফির মৃত্যুতে হেফাজতের ওপর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত। এর আগে এ প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঈন উদ্দিন রুহী বলেন, হেফাজতের মধ্যে ঘাপটি মারা ওই চিহ্নিত গোষ্ঠীর এজেন্টরা, ওই চিহ্নিহ গোষ্ঠীর দালালরা আল্লামা সফীকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন। এবং তার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করেছেন।