ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ

দখিনের সময় ডেস্ক:

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আট উইকেটে হেরে গেছে। আর ইংল্যান্ড পর পর দুটি ম্যাচে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট করে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে। জবাবে ইংল্যান্ড ৩৫ বল হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করে।

একদম প্রথম বল থেকেই মনে হয়েছে বাংলাদেশ দল অগোছালো ক্রিকেট খেলেছে। মইন আলীর বলে যখন লেগ সাইডে একজন ফিল্ডার রাখা ঠিক তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লিটন দাস। এরপর নাইম শেখও মইন আলীর বলে আগেই ঠিক করে রাখা শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে তারা ইংল্যান্ডের করা ফিল্ডিং সেটাপ এবং পরিকল্পনা বুঝতেই পারেননি। ১৪ রানের মাথায় ২ জনই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর সাকিব আল হাসান বার বার স্কয়ার লেগের পেছন দিয়ে মারার চেষ্টা করেন, তার চেষ্টা ছিল সার্কেলের ভেতরের ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠানো। কয়েকবার একই চেষ্টা করার পরেও এই শটটি ব্যাটে ঠিকঠাক না লাগাতে পেরে ক্যাচ তুলে দেন, রশিদ খান ভালো একটি ক্যাচ ধরেন।

মুশফিকুর রহিমের অন্যতম প্রিয় শট রিভার্স সুইপ, কিন্তু তিনি প্রায়ই এই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান। তাই নিয়মিত রিভার্স সুইপ খেলার জন্য সমালোচিত হন, শেষ পর্যন্ত লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়েই তিনি এলবিডব্লিউ আউট হন। এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও লিয়াম লিভিংস্টোনের বল জোরে মারতে গিয়ে ত্রিশ গজের বৃত্তও পার করতে পারেননি, পয়েন্টের পেছন দিয়ে ক্রিস ওকসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে তিনি আউট হয়ে যাওয়ার আগে উইকেটে চরম সিদ্ধাহীনতা ও দ্বিধার পরিচয় দেন, তার ডাকে সারা দিয়েই আফিফ হোসেন রান আউট হয়ে ফেরত যান, এরপর নুরুল হাসান সোহানকেও দুইবার রানের জন্য ডাকেন কিন্তু রিয়াদের চেহারায় অনিশ্চয়তার ছাপ ছিল স্পষ্ট।

শেষদিকে শেখ মেহেদি ও নাসুম কিছু রান তোলার চেষ্টা করেন। নাসুম দুটি ছক্কা মেরে ৯ বলে ১৯ রান তোলেন। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের কোনও সুযোগ দেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার অনায়াসে ১৫ ওভারের আগেই ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে। বাংলাদেশের শারীরিক ভাষা ছিল দুর্বল, সন্দিহান এবং খেলার আগেই হার মানার ছাপ।