দখিনের সময় ডেস্ক :
আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে বিএনপি। এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৩০শে অক্টোবর) সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা গত এক যুগ ধরে বলে আসছেন সরকারের পায়ের নিচে নাকি মাটি নেই।প্রকৃতপক্ষে, সরকার নয়, নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকলে তারা রাজপথে নামত, নির্বাচনেও আসত। এজন্যই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচনবিমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল। সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটন করেছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।
বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। বহু বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে এনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সময়ের ব্যাপার কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করত তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে এবং বক্তৃতা, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশোসহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে। এ জন্য সরকার তো তাদের কোনও শাস্তি দিচ্ছে না।, আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যাচেষ্টার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়নি।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, জনগণ সরকারের ওপর খুশি বলেই বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে, বিএনপি চেয়েছিল দেশের মানুষ না খেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকুক, কিন্তু তা হয়নি বলে বিএনপির অন্তর্জালা শুরু হয়েছে।