স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েব: তদন্তে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট

দখিনের সময় ডেস্ক :

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ১৭ টি নথি গায়েবের ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে। আলামত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রবিবার (৩১শে অক্টোবর) সকালে সিআইডির পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে অনুসন্ধান শুরু করে। একইসাথে শাহবাগ থানারও একটি দল অনুসন্ধান শুরু করেছে।

মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, বুধবার পর্যন্ত নথিগুলো ঠিকঠাক ছিল। পরদিন অফিসে এসে কেবিনেট খুললে ফাইলগুলো পাওয়া যায়নি। ১৭ টি ফাইলের সবই ক্রয় সংক্রান্ত।

এদিকে, নথি গায়েবের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডিতে বলা হয়, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় সেগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর বেশির ভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২ এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। গুরুত্বপূর্ণ এ ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল।