Home শীর্ষ খবর প্রেরণার বার্তা নিয়ে আসে ডিসেম্বর

প্রেরণার বার্তা নিয়ে আসে ডিসেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতির জীবনে স্বর্নাক্ষরে লেখা বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। কোটি মানুষের হৃদয়ে এই ডিসেম্বর আসে প্রেরণা, প্রতিজ্ঞার বার্তা নিয়ে। প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পরাজিত করে সুন্দর, সত্যের পথে লড়াইয়ের সঞ্জীবনী শক্তি লুকিয়ে রয়েছে এই ডিসেম্বরে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ সর্বাত্মক রূপ পেয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। সারা দেশে চলতে থাকে ব্যাপক যুদ্ধ।

এদিকে, পিপলস পার্টির ঢাকা অফিস বোমা বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জুলফিকার আলি ভুট্টো দুই মাস আগে এ অফিস উদ্বোধন করেছিলেন। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদে বক্তৃতাকালে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। এই বক্তৃতায় তিনি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালে এই দিনে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা তত্পরতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের নির্দেশে সামরিক বাহিনীর লোকেরা পুনরায় গ্রামবাসীকে হত্যা এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার বর্বর অভিযান শুরু করেছে। গেরিলা সন্দেহে জিঞ্জিরার কত জন যুবককে যে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করেছে তার ইয়ত্তা নেই। বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ের এই গ্রামটিতে অন্তত ৮৭ জনকে সামরিক বাহিনীর লোকেরা হত্যা করেছে। এদের অধিকাংশই যুবক। নারী ও শিশুরাও ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

এদিন রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র জানায়, অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ-প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের চারটি রণাঙ্গণে যে আক্রমণাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

’৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন চালিয়ে ঢাকায় দুজন মুসলিম লীগ কর্মীকে হত্যা করে। বাকি দুজনকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা শেষ রাতের দিকে সিলেটের শমশেরনগরে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে নাজেহাল করে তোলে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী এই এলাকা থেকে পালাতে শুরু করে। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা ও দুয়ারাবাজার মুক্ত ঘোষণা করে। মুক্তিবাহিনীর অপারেশন অব্যাহত থাকায় পাকিস্তানি বাহিনী এই জেলার গারা, আলিরগাঁও, পিরিজপুর থেকে তাদের বাহিনী গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

৬টি পদে সরকারি চাকরি, এসএসসি পাসেই আবেদন

দখিনের সময় ডেস্ক: কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি শূন্য পদে ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডে ৮৫ জনকে নিয়োগের জন্য এ...

নতুন ফোন কিনছেন, জেনে নিন এ বিষয়গুলো

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই আজকাল নতুন ফোন কেনার সময় পুরোনো ফোনটি বিক্রি করে দেন বা ফোনটি বদলে নেন। পুরোনো ফোন বদলে নতুন ফোন কেনার সময়...

খেজুর ভেজানো পানি খেলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: খেজুর সবচেয়ে জনপ্রিয় শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম। এর স্টিকি টেক্সচার এবং প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ সবাই পছন্দ করেন। সেইসঙ্গে এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং...

যে কারণে জামিন না পেয়ে কারাগারে মাহমুদুর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন পাননি। আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে...

Recent Comments