কাজী হাফিজুর রহমান:
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ খালে বাঁধ দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। সেচ মৌসুমের পিক সময়ে এলজিইডির এই বাঁধ নির্মাণের ফলে অন্তত ৫৮০ হেক্টর জমি অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় সেচ এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। এমন কি এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সেচখালে বাঁধ না দেয়ার জন্য ‘বিশেষভাবে অনুরোধ’ জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অফিস।
বরিশাল সদর উপজেলার কেপি-০৬ লাকুটিয়া সেচ পাম্পের আওতায় পূর্ব বিল্ববাড়ী সেচ খাল রয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনে এই সেচ খালে বাধ দিয়েছে এলজিইডি বরিশাল অফিস। এদিকে সেচ পাম্পের দ্বারা এই সেচ খালে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি করে গ্র্যাভিটি পদ্ধতিতে ৫৮০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সেচ কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু সেচখালে এলজিইডি বাধ দেবার ফলে সেচ কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে। এ অবস্থায় ২০২১-২০২২ সেচ মৌসুমে কেপি-০৬ লাকুটিয়া সেচ পাম্পের আওতাধীন সেচ চলাকালে অর্থাৎ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পূর্ব বিল্ববাড়ী খালে বাধ না দেবার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অফিস। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভাগকে পত্র দেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বরিশাল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো: জামাল উদ্দিন দৈনিক দখিনের সময়কে বলেন, সেচ এবং ব্রিজ- দুটো বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজ হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। তিনি জানান ২৪টি পাইল করতে মাসখানেক সময় লাগবে। এক মাসের মধ্যে এই কাজ করতে না পারলে এ সিজনে আর কাজ হবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাইপের মাধ্যমে সেচখালে বিকল্প ব্যবস্থায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সময় তিনি এও জানান, এ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। প্রসঙ্গক্রমে নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো: জামাল উদ্দিন জানান, ব্রিজের নকশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।