নাদিম মাহমুদ ॥
বরিশাল নগরীর মধ্যদিয়ে এক সময় প্রবাহমান খালগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বটতলা খাল। নগরীর পশ্চিম অঞ্চলের মালামাল নৌকায় করে এই খাল দিয়ে বটতলা আসতো। এর কিছু মালামাল তোলা হতো বটতলা বাজারে এবং বাকী মালামাল যেতো নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। শুধু মালামাল পরিবহন নয়, খর¯্রােতা এই খালটি দিয়ে শহরের অন্তত এক তৃতীয়াংশ পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এটি কেবলই সুখস্মৃতি। এখন বাস্তবতা হচ্ছে, সামান্য বৃষ্টিতেই বটতলা বাজার থেকে চৌমাথা পর্যন্ত রাস্তা থৈ থৈ জলে ডুবে যাওয়ার দুর্দশা!
এক সময় বড়বড় নৌকা চলতো বটতলার এই খাল দিয়ে। এ খালের উপর দোতলা মার্কেট তৈরী করেছে জেলা পরিষদ। বাকি অংশের উপর চৌমাথা পর্যন্ত দীর্ঘ বক্স কালভার্ট নির্মান করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। নগর উন্নয়নের নামে বিদেশী টাকায় এই বক্স কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে সাবেক দুই মেয়রের আমলে। খালের উপর জেলা পরিষদের মার্কেট নির্মান এবং সিটি কর্পোরেশনের বক্স কালভার্ট নির্মানের ফলে কেবল বটতলা খালটি বিলীন হয়ে যায়নি, নগরীর বিশাল এলাকার পানি নিষ্কাশনের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে চরম জলাবদ্ধতা।
বটতলা খাল দখল করে জেলা পরিষদ নির্মিত মার্কেটের নীচে বিরাজমান সরু ড্রেন ও ত্রুটিপূর্ণ নকশার বক্স কালভার্ট দিয়ে মাত্র কয়েক বছর বৃষ্টির পানি ধীরলয়ে নিষ্কাষিত হতো। কিন্তু মার্কেটের নীচের সংকীর্ণ ড্রেন ও ভুল নকশার বক্সকালভার্ট কয়েক বছরের মধ্যেই পানি ধারণ ও নিষ্কাষনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে সামন্য বৃষ্টিতেই বটতলা মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যায়। যে পানি সরতে দুই থেকে তিনদিন লাগে। ফলে নগরবাসীর জন্য সৃষ্টি হয় দুর্বিসহ ভোগান্তি। পাশাপাশি সড়কের অকল্পনীয় ক্ষতি হয়।