গাজী মো. তাহেরুল আলম
মনপুরায় দীর্ঘ ১০ বছর পর ৮ শত ভুমিহীনদের কৃষি খাসজমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি। বন্দোবস্ত জমি পেয়ে ভূমিহীন পরিবারগুলোর মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝলক।
মনপুরার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর সোনারচর ও চর নজরুল ২০১২ সালে ৮শত ভুমিহীন পরিবারের মাঝে জমি বন্দোবস্ত দিয়েছেন ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি। দীঘদিন বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবার তাদের দখল বুঝে পায়নি। দখল বুঝে পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন হাওলাদার নেতৃত্বে ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি কৃষি খাসজমির দখল সরজমিনে বুঝে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ও শনিবার সোনারচর ও চর নজরুল বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীনদের নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন ভুমি বন্দোবস্ত কমিটি। জমির দখল বুঝে পেয়ে খুব খুশি ভুমিহীন পরিবারগুলো।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভুমিহীনদের মাঝে কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন ভুমিবন্দোবস্ত কমিটি। কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবারের মাঝে জমির দখল বুঝে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা, ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নিজামউদ্দিন হাওলাদার, ৪নং দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ কাজল, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আবুয়াল হোসেন আবু মেম্বার, প্রেসক্লাব সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ছালাহউদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
জমির দখল বুঝে পেয়ে খুব খুশি সুলতান আহম্মদ মাঝি, মো. কাজল, মো. মামুন বলেন, দীর্ঘদিন আমরা আমাদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া জমি দখল বুঝে পাইনি। এখন স্থানীয় ইউএনও আমাদের জমির দখল সরজমিনে মেপে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা বলেন, কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়া ভুমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে জমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছি। সোনারচর ২০ পরিবারের মধ্যে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে । চর নজরুল ৮শত ভুমিহীনদের মাঝে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।