দখিনের সময় ডেস্ক:
ক্রেমলিন থেকে যে হুঙ্কার শোনা গেছে, তাতে এটা বলা যায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারের উৎখাত অনিবার্য। এদিকে ‘যা কিছু ঘটে, পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকে’- বলছেন স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে যা কিছু ঘটছে, এর জন্য আমেরিকাকেই দায়ী করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এরপর আমরা দুইয়ে মিলে একটা সমঝোতায় পৌঁছাব।
পূর্ব ইউরোপে সামরিক বিস্তারের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকেও সদস্যপদ দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটোর মনে ও মুখে ছিল। ইউক্রেনও চেয়েছিল রাশিয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য ন্যাটোর ক্লাবে ঢুকে পড়তে। ওদিকে, পুতিন দেখতে পাচ্ছিলেন, আশপাশের অন্য সব দেশের মতো ইউক্রেনেও ন্যাটো ঢুকে পড়লে রাশিয়া হয়তো সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পরিণতির মুখে পড়তে পারে।
‘নিরাপত্তাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়’- এই নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু। পশ্চিমাদের গোয়েন্দা অনুমানকে সত্য প্রতীয়মান করে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনও প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে, যদিও সাফল্য যৎসামান্যই।