দখিনের সময় ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুপারিশের পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। তবে স্পিকারের এ আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে বিরোধীরা শাহবাজ শরিফকে একতরফাভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। তিনি এরই মধ্যে সংসদে ভাষণও দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭ জন সদস্য পিএমএল-এনের সংসদ সদস্য আয়াজ সাদিককে নতুন স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা শেরি রেহমান এ দাবি করে একটি ভিডিও টুইট করেছেন।
সাদিক স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চালু করেন বলে জানা গেছে। পার্লামেন্টে ইমরান খানের জোটের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। রোববার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশটির সংবিধানের ৫ম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের সংবিধান বিশেষজ্ঞ আব্দুল মইজ জাফেরি বলেন, মিথ্যাকে বড় করুন, সহজ করুন এবং বারবার বলতে থাকুন। এর পর সবশেষে আপনি সংবিধান ছিঁড়ে ফেলতে পারবেন। মইজ জাফেরির ভাষায়, ‘ডেপুটি স্পিকার আজ যা করেছেন তা কেবলমাত্র সাংবিধানিক অনুচ্ছেদের অযৌক্তিক অপপ্রয়োগ নয়। একইভাবে এটি পিটিআইয়ের (ইমরানের দল) সদস্যদের সংবিধানের অপপ্রয়োগ এবন প্রকাশ্যে ভুল ব্যাখ্যা ও সংবিধানকে ভুলভাবে উপস্থাপনের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।
দেশটির আইন বিশেষজ্ঞ মুনীব ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ডাক পুরোপুরি অসাংবিধানিক। রীমা ওমর নামে দেশটির আরেক আইন বিশেষজ্ঞ টুইট করে বলেছেন, ‘কোনো যদি এবং কিন্তু নয়, স্পিকারের রায় স্পষ্টভাবে অসাংবিধানিক।’ তিনি আরও লিখেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা ইমরান খানের নেই। দেশটির আরেক আইন বিশেষজ্ঞ সালমান আকরাম দেশটির এক প্রাইভেট টিভি চ্যানেলকে বলেন, বিরোধীদের এখন উপায় হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া। অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতো তিনিও বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে এটি একটি সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় স্পিকারের দেওয়া একটি অসাংবিধানিক রায়।’
Post Views:
55