দখিনের সময় ডেস্ক:
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হেফাজতে নেয়া হয় দুই নারী মডেলকে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আশিষকে বাড়ি থেকে বের করে একটি মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর দপ্তরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, র্যাব কর্মকর্তারা আশিসের ভাড়া বাড়ি থেকে দুই নারীকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আশিষ র্যাবকে জানিয়েছে, গত ২৪ বছরে তিনি অনেকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি অন্য দেশের নাগরিকত্বও পেয়েছেন।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, তারা বাড়ি থেকে ২৩ বোতল বিদেশি মদ পেয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে আশিষ রায় চৌধুরী আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে, তিনি মিরপুর ডিওএইচএসের বাসায় থাকতেন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, আশিষ র্যাবকে জানিয়েছেন- এ মামলায় তাকে আগে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আশিষ বলেছেন, এই মামলায় তিনি একবার জামিন পেয়েছিলেন। তবে, তার জামিন বাতিল করা হয়েছিল কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন র্যাব কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বরে রোডের আবেদীন টাওয়ারের ট্রাম্পস ক্লাবে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন অভিনেতা সোহেল চৌধুরী। এ ঘটনার পর নিহতের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গোয়েন্দারা তদন্তের পর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ও আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ২ বছর পর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ওই মামলায় এক আসামির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে উচ্চ আদালত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯ বছর পর বিচার কার্যক্রমের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।