Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি এনজিও’র ফাঁদ, স্ত্রীর ঋণের কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফ্রান্স প্রবাসী স্বামী

এনজিও’র ফাঁদ, স্ত্রীর ঋণের কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফ্রান্স প্রবাসী স্বামী

দখিনের সময় ডেস্ক:

ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে রবিউল আলম সোহেল (৪৫) নামে এক প্রবাসী দেখেন, তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন এনজিওতে অর্ধকোটিরও বেশি টাকার ঋণ আছে। স্ত্রীর ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিউল আলমের স্ত্রী মারিয়া আফরিন মোট ৬৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি আছে ২২ লাখ টাকা। রবিউল আলমের স্ত্রী মারিয়া আফরিন বলেন, আমি প্রথমে আমি একটি এনজিও থেকে ঋণ নেই। এনজিওর লোকজন আমাদের ঘরবাড়ী দেখেই কাগজপত্র তৈরী করে ঋণ দিয়েছে। পরে ওই এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে অন্য আরো একটা থেকে ঋণ নেই। এভাবে এক এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে আরেক এনজিও থেকে ঋণ নেই। এভাবে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ি।

ভুক্তভোগী রবিউল আলম সোহেল কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সোনাইসার গ্রামের বাসিন্দা। জীবনে যত আয় করেছেন, সবই তুলে দিয়েছেন স্ত্রীর হাতে। সাত বছরের প্রবাস জীবন শেষে গত জানুয়ারিতে দেশে ফিরে জানতে পারেন, স্ত্রীর নামে স্থানীয় ৭টি এনজিওতে ৬৮ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

প্রবাসী সোহেল বলেন, এই ঋণ পরিশোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। রেমিটেন্স ঋণ দিলে অবশ্যই প্রবাসে অবস্থানরত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে হবে এনজিওগুলোর। তা না করে আমার স্ত্রীকে তারা কীভাবে ঋণ দিল। সাত বছর পর দেশে এসে আমি নিঃস্ব। আমি জানি আমার স্ত্রী অপরাধী। কিন্তু এনজিওগুলো কীভাবে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমার স্ত্রীকে ঋণ দিল। এখানে অবশ্যই তারা বেনিফিটেড হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ৭ বছর ফ্রান্সে থেকে যে আয় করেছি তা দিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছি। এখনো কাজ শেষ হয়নি। এই মুহূর্তে বাড়ি এসে ঋণের কথা শুনে আমি দিশেহারা। আমার এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে ঋণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, সে বলে এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করবে। আমি এখন কি করব?

এদিকে এনজিওগুলোর মধ্যে গাকের ফিল্ড অফিসার রিপন জানান, তিনি মারিয়া আফরিনের মোবাইল ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেই ঋণ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ফোনের ওই পাশে কে ছিল তা তিনি নিশ্চিত নন। একই কথা বলেন, এসএসএস এর ফিল্ড অফিসার বিপ্লব ভদ্র। তিনি বলেন, এসএসএস থেকে মারিয়া এখন পর্যন্ত পাঁচ বার ঋণ নিয়েছেন। প্রতিবারই ঋণ দেয়ার সময় যতটুকু কাগজপত্র রাখা দরকার। আমরা রেখেছি।

সিসিডিএ ভরাসার শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কাউছার আলম বলেন, মারিয়ার স্বামী ফোনে বলেছেন, তার শ্বশুর সব জানে। মারিয়াকে ঋণ দিলে কোনো সমস্যা নেই। আমরা নিয়ম মেনেই ঋণ দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

দখিনের সময় ডেস্ক: দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোয় এক নম্বর সংকেত তোলা হয়েছে।...

কষ্টার্জিত জয়ে ব্যবধান ৪-০ করল বাংলাদেশ

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিসের মহড়া। তবুও শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৫ রানের কষ্টার্জিত...

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সেই সভার সূচনা...

পাখিরাও পরকীয়া করে, ঘটে বিচ্ছেদ

দখিনের সময় ডেস্ক: বিয়ের পরও পরকীয়ায় জড়িয়ে সংসার ভাঙে অনেকের। মানুষের মধ্যে এই প্রবনতা বাড়ছে। এমন ঘটনা ঘটে পাখিদের মধ্যেও। এর জেরে ভেঙেও যাচ্ছে তাদের...

Recent Comments