দখিনের সময় ডেস্ক:
এ বছর দেশ থেকে যারা হজে যাবেন তাদের সবার ইমিগ্রশন প্রক্রিয়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরবের বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশনের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনের হজে যাওয়ার কথা আছে।
এর আগে ২০১৯ সালে সীমিত সংখ্যক হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শাহজালালে সম্পন্ন হয়েছিল। ২০২২ সালের হজের কোটা ও শর্ত তার আগে সৌদি আরবে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হজযাত্রীদের বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত শুধু মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাদের নিজ দেশের বিমানবন্দরে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এখন থেকে বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও ফ্লাইটের আগে ঢাকায় তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন। আগে সৌদি আরবে নামার পর তা করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেত।
জুলাইয়ের শুরুতে হজের ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ বছর বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ করার অনুমতি পাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটের টিকেটের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটের টিকেটের মূল্য চূড়ান্ত করা হয়নি। ১০ লাখ মানুষ এ বছর হজ করতে পারবেন: সৌদি আরব
বৈঠকে হজ প্যাকেজ ঘোষণা, হজ ফ্লাইট শিডিউল তৈরি, ইমিগ্রেশন বাস্তবায়নের জন্য শাহজালালে সৌদি কর্তৃপক্ষের জন্য জায়গা বরাদ্দ, ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট, হজ এজেন্সির মাধ্যমে ফ্লাইটের টিকিট দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।