প্রথম দফায় আবগারীর গাজা বিক্রির চেষ্টা মাঠেমারা গেলো। দ্বিতীয় দফায় ব্যাংক লুটের আশায়ও গুড়ে বালি। দ্বিতীয় দফায় অর্থ সংগ্রহের চেষ্টায় বিফল হয়ে আমির হোসেন আমু এবং তার সতীর্থরা অনেক ঝুঁকির পথ পেরিয়ে ভারত যাত্রার পথে আবার কালিজিরায় ফিরে এলেন। আসতে আসতে তাদেরকে অন্য চিন্তায় পেয়ে বসলো, লঞ্চটি আছে তো!
তাদেরকে অবাক করে দিয়ে এসপির লঞ্চটি তখনও তাদের জন্য ঘাটে অপেক্ষমান। তড়িঘড়ি করে তারা লঞ্চে ঊঠে পড়লেন। ব্যাংকের টাকা না পেরেও তারা যেনো ধরে প্রাণ ফিরে পেলেন। তখনো তাদের আচ্ছন্ন করে আছে টাকার চিন্তা। কিছু দূর যাবার পর দেখাগেলো একটি ওয়েল ট্যাংকার নোঙ্গর করা। কাছাকাছি বেশ কিছু নৌকা। আমির হোসেন আমুর নির্দেশে লঞ্চটি অয়েল ট্যাংকারের কাছে নেয়া হলো। এটি পাহারা দিচ্ছিলেন এনায়েত হোসেন চৌধুরী।
মনসুরুল আলম মন্টু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এখানে কি করছো!
এনায়েত চৌধুরী বললেন, পাহাড়া দিচ্ছি।
ঃ মারা পড়বে তো।
ঃ কি করবো, অর্ডার না পেলে আমি কি করে ট্যাংকার ছেড়ে যাই। ওই দেখছোনা কত নৌকা আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে তেল লুট করার জন্য। একটু আগেও কয়েকটা নৌকা এসে বলছিলো, নগদ দামে তেল কিনতে চায়। আসলে ওরা লুট করবে শেষ পর্যন্ত। আমার ট্যাংকার ছেড়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
মনসুরুল আলম মন্টু ভাষ্যমতে, ‘আমু ভাই বললেন সবগুলো নৌকা কাছে ডাকো। আমরা ইশারায় ডাকলাম। নৌকা কাছে এলো। আমরা জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কি চাও। ওরা জানালো ওরা তেল চায়। আমরা বললাম অর্ধেক কিংবা তার চেয়েও কম দামে তেল বিক্রি করবো। কিনবে? ওরা মুহুর্তে রাজী হয়েগেলো। আশ্চর্য ব্যাপার, ওদের প্রায় সকলের নৌকায়ই তেলের ড্রাম।……. মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ওদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা পাওয়াগেলো। …..আমু ভাই সারেংকে বললেন, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব চালাতে। আমাদের দীর্ঘ পথ যেতে হবে। সেই সুন্দরবন হয়ে কতকত নদী খাল পেরিয়ে ভারত।’