দখিনের সময় ডেস্ক:
সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৫ জুন থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলবে পাঁচদিন পর্যন্ত। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ২৫ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারাদেশে একযোগে দেখানো হবে। জেলায় জেলায় উৎসব করেও উদ্যাপন করা হবে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ঢাকার হাতিরঝিলে চোখ ধাঁধানো লেজার শো’র আয়োজন করা হবে। আগামী ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় কাঁঠালবাড়িতে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে ১০ লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণের জনপদের উন্নয়নে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এ সেতুর কারণে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে, তাদের আধুনিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলে উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানো বা রপ্তানির সুযোগ ছিল না। পদ্মা সেতুর সংযোগের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত মাছসহ অন্যান্য কৃষিসামগ্রী দ্রুততার সাথে ঢাকায় যেতে পারবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠা হবে।