পদ্মায় সেতু নির্মাণে বিশ্ববাসী অবাক, বললেন  স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, খরস্রোতা আমাজন নদীর উপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের সাথা ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ তৈরি হবে।

আজ বৃহস্পতিবার(১৬ জুন) দুপুরে মাদারিপুর জেলার শিবচরে কাঠালবাড়ি ঘাটে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসস্থল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এসময় জাতীয় সংসদের  নুর-ই-আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, এর ফলে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় সারাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ পাবে বলেও জানান মন্ত্রী। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এই সেতু আমাদের গর্বের ও আহংকারের।

পদ্মা সেতৃ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের নিরাপত্তা এবং সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সকল প্রকার সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।  মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দুটি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন, ১২ টি জলাধার স্থাপনের মাধ্যমে পাঁচ শো টি ট্যাপের মাধ্যমে চলমান পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করবে।

এছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০ টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ পাঁচ শো টয়লেট স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আর এক দপ্তর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।