দখিনের সময় ডেস্ক:
ফরিদপুরের মেহেদী হাসান বোয়ালমারী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডে রায়পুর মহল্লার বাসিন্দা। তার সাধারণ পরিচয়, তিনি গার্মেন্টসের কাপড়ের ব্যবসায়ী। বোয়ালমারী ডাকবাংলো সংলগ্ন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীর কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত ‘ব্যাচেলার পয়েন্ট’ নামে দোকানের স্বত্ত্বাধীকারী তিনি।
এই ব্যাচেলর পয়েন্ট নামে ওই গার্মেন্টসের কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন মেহেদী হাসান। কিন্তু এই পরিচয়ে তেমন প্রটেকশন পাচ্ছিলেন না, হয়তো। এ ছাড়া মাদক নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকা সরকারী লোকদেরও বখড়ার চাহিদা বাড়ছিলো বলে সূত্র জানায়। এ অবস্থায় বোয়ালমারী পৌর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি পদটি বাগিয়ে নেন মাদক কারবারী মেহেদী হাসান । এপর তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য! কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। অথবা বখড়া লেনদেনে বড় রকমের বিরোধ হয়েছে।
নেপথ্যের কারণ যাবা হোক, ফরিদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেহেদী হাসান আব্দুল্লাহ। বোয়ালমারী উপজেলায় রায়পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও হঠাৎ করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান মেরেহদী হাসান। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে তিনি ৮/১০টি মোটরসাইকেল পরিবর্তন করেছেন। একটি প্রাইভেটকারে তিনি ঘোরাফেরা করেন। ওই গাড়িতে তার সহযাত্রী হন উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।
ফরিদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেরেহদী হাসানকে তাকে ধরে আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনদের প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়। এদিকে এলাকাবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে, এতো দিন কেন ধরা হয়নি?