দখিনের সময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কারামুক্তির পর নেতাকর্মী ও অনুসারীরা হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, ২০২১ সালে আলেমদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করা হয়েছে তার মুক্তির মধ্য দিয়ে সেই অধ্যায়ের প্রাথমিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে। অন্যায়ভাবে আমাদেরকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। যখন ন্যূনতম প্রতিবাদটুকু করতে গিয়েছি তখন আমাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
ধর্ষণের একটি মামলা বেশি আলোচিত হলেও মামুনুল হকের নামে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্ জানান, ৪১টি মামলার মধ্যে ১৫টি মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে। “কিছু কিছু মামলা বিচারের শেষদিকে রয়েছে। হত্যা ও ধর্ষণের মামলা দুটিতে বর্তমানে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। ধর্ষণের মামলাটি ব্যাপকভাবে আলোচিত। ২০২১ সালের ৩০শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এটি দায়ের করা হয়েছিল। সোনারগাঁ থানার পুলিশ তখন জানিয়েছিলো, বাদী ওই মামলায় অভিযোগ করেছেন যে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে তাকে ‘জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন’ মামুনুল হক। ওই বছরের তেসরা এপ্রিল মামুনুল হক সেই নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে যান। তখন সেখানে তাকে ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় কিছু লোকজন এবং ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। কিন্তু মামুনুল হক দাবী করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দুই বছর আগে তারা ‘ইসলামী শরিয়ত সম্মতভাবে’ বিয়ে করেছেন।
রিসোর্টে নাটকীয় পরিস্থিতির এক পর্যায়ে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক এবং মাদরাসার ছাত্ররা পাল্টা হামলা চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়। পরে, ১৮ই এপ্রিল মামুনুল হককে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারের ১২ দিন পর তার “দ্বিতীয় স্ত্রী” তেসরা এপ্রিলের ঘটনায় ধর্ষণের মামলাটি করেন। আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বলেন, “বাদীর সাথে মামুনুল হকের লিখিত নথি আছে। যেখানে বাদী বলেছেন, তিনি তার কলেমা পড়া স্বামী।” যদি ভিক্টিম নিজেই বলেন কলেমা পড়া স্বামী, তাহলে তার তো আর ধর্ষণের অভিযোগ আনার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন এডভোকেড মেজবাহ্’র। ওই নারীর সন্তানও এই মামলায় বিয়ের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
হেফাজতের সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি হয় ২০১৩ সালে। তিনি তখন যুব সংগঠন যুব মজলিসের সভাপতি ছিলেন। তার আইনজীবী জানান, এজাহারে বলা আছে, জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীরা মিরপুরে বোমা হামলা করে একজন বৃদ্ধকে হত্যা করেছেন। সেই মামলার চার্জশিটে মামুনুল হকের নাম আছে। মামলাটির বিচারকাজ শেষের দিকে বলে জানান সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্। এখন তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে।