দখিনের সময় ডেস্ক:
শুকনা খাবারও শেষ। বিদ্যুৎ নেই। টেলিফোন নেটওয়ার্ক প্রায় বিচ্ছিন্ন। চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় এলাকার মোবাইল অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার ও আর্তনাদ চলছে। পানির তীব্র স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন।
উজান থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া সিলেট-সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনগুলো বন্যাদুর্গত এলাকায় সাহায্য পাঠাতে পারছে না। সাহায্য করতে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম লাগামছাড়া। খাবার পানি, নৌযান ও শুকনা খাবারের জন্য চলছে মানুষের হাহাকার। বন্যার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন শিশু ও বয়স্ক এবং অসুস্থরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বন্যাদুর্গত এলাকায় চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ দুর্যোগ এর আগে এলাকাবাসী আর কখনো দেখেননি। বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইল ফোনগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই মানবিক সংকটে কারও কাছে সাহায্য চাওয়ারও সুযোগ নেই। এখন সৃষ্টিকর্তার দিকে তাকিয়ে আছেন অসহায় মানুষগুলো। অনেক এলাকায়ই মানুষকে অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে গবাদিপশুগুলো আরও বিপাকে পড়েছে।
এদিকে বন্যাকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে শুকনা খাবারসহ মোমবাতির দাম লাগামছাড়া। পাঁচ টাকার মোমবাতি স্থানভেদে ২০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেট শহর থেকে শনিবার আরিয়ান আহমেদ দুলাল বলেন, শহরে বিদ্যুৎ বন্ধ। পাঁচ টাকার একটি মোমবাতি শনিবার কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে। ৬০ টাকা কেজির চিড়া এখন ১১০ টাকা। সব পণ্যেরই দাম লাগামছাড়া।