দখিনের সময় ডেস্ক:
নৌ-রুটে জুলুমের আবসান হয়েছে। এর প্রভাব যেমন পড়েছে বরিশঅর ঢাকা নৌ-রুটের মতো শিমুলিয়া, কাঁঠালবাড়ি ও মাঝিকান্দি ঘাটে প্রভাব পড়েছে। মলিকদের জুলুমের কেসারত দিচ্ছেন এখন কর্মচারীরা।
যে ঘাটে সব সময় মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকত সেই ঘাটটিতে এখন সুনসান নীরবতা। ঘাটে সারিবদ্ধভাবে রাখা লঞ্চগুলোতে কতিপয় স্টাফ ছাড়া অন্য কাউকে দেখা যায়নি। কিছু স্টাফ লঞ্চ পাহারা দিচ্ছেন আর পাশে বসে তাস খেলছেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ি ও মাঝিকান্দি ঘাটে ছেড়ে যায়নি একটি লঞ্চও। ঘাট পারাপারের জন্য আসেনি কোনো যাত্রীও। ফলে উপার্জন বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন লঞ্চ কর্মচারীরা। এখন তারা ঘাটে মালিকের লঞ্চ পাহারা দেন বিনা বেতনে। মালিকরা কাড়ি কতাড়ি টাকা নিয়ে নিশ্চিতে অঅছেন। কিন্তু বিপদে আছেন কর্মচারীরা। তারা খুবই কষ্টে আছেন।
সরেজমিনে ঘাটে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে বাঁধা রয়েছে ২৫-৩০টি লঞ্চ। এগুলোর মধ্যে জয়েন্ট ওয়াটার ওয়েজ, এমএমএল রাকিব, এএসকে শিপিং লাইন, এমএস শিপিং লাইন্স, আব্দুল জলিল শিপিং লাইন্স, মেসার্স বিক্রমপুর এন্টারপ্রাইজ, বিএস নেভিগেশন কোম্পানি, খান শিপিং লাইন্স, হুমায়ুন কবির লিভার সার্ভিস, তরিকুল ইসলাম নেভিগেশন কোম্পানি, মেসার্স এসবি শিপিং লাইন্স, রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ, ব্রাদার্স নেভিগেশনসহ আরও অনেক লঞ্চ রয়েছে।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু লঞ্চের চালক ও স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। আবার অনেক লঞ্চের চালক ও স্টাফদের মালিকরা চাকরি থেকে অব্যাহতি না দেওয়ায় তারা রয়ে গেছেন। তবে কোন পয়সা পাচ্ছেন না বলে জানাগেছে।