আনুশকা-দিহানের প্রেম শুরু দুই মাস আগে: বিকৃত যৌনাচারে দুটি জীবন শেষ
দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ১০, ২০২১, ২২:৪১ অপরাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় রিপোর্ট ॥
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী অনুশকা নূর আমিনের সঙ্গে ফারদিন ইফতেখার দিহানের দুইমাস আগে থেকে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিকৃত যৌনাচারে শেষ হলো দুটি জীবন। এক জন চলে গেছে না ফেরার দেশে এবং অপর জন কারার অন্তরালে।
গ্রুপ-স্ট্যাডির কথা বলে গত বৃহস্পতিবার কলাবাগানে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আনুশকা নূর আমিনের। ওই দিনই ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দিহানের বিরুদ্ধে মামলা করে আনুশকার পরিবার। প্রাথমিক আলামতে প্রতিভাত হয়, আনুশকার সাথে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে। এটি তার সম্মতিতে হয়েছে। অথবা তাকে চেতনা নাশক খাওয়ানো হয়েছিলো।
আনুশকা হত্যাকান্ডের ঘটনায় একজনকে আসামি করা নিয়ে দ্বিধায় পরিবার। দিহানের বয়স কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও সন্দেহ তাদের। আগে থেকে দিহানের সাথে কোন সম্পর্ক ছিলো না বলেও দাবি পরিবারটির। এদিকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দিহানের তিন বন্ধুকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
রবিবার (১০ জানুয়ারী) মামলার অগ্রগতি নিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজাদ্দুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, গেল নভেম্বর থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। আর হাসপাতালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলায় নিহতের বয়স প্রাথমিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে আটক দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হলেও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে তারা। ডিএনএ পরীক্ষায় তাদের সম্পৃক্ততা পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা- জানিয়েছে পুলিশ। উপ-কমিশনার সাজাদ্দুর রহমান। সাজ্জাদুর রহমান আরও জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তবে অবশ্যই তারাই (দিহানের তিন বন্ধু) সন্দেহের তালিকায় থাকবে। এদিকে কারাগারে থাকা আসামি দিহানের পক্ষে এখনও কোন আইনজীবী নিয়োগ করেনি তার পরিবার।