দখেনের সময় ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতে দেশের সমৃদ্ধি ও জাতির মঙ্গল কামনা দোয়া করা হয়েছে। মোনাজাতে মুসলমানদের গুনাহ মাফ এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে আর্জি জানানো হয়। মোনাজাত শেষে মুসুল্লিরা কোলাকুলি করেন।
ঈদের প্রধান জামাত রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত এই প্রধান জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের প্রায় লাখো মুসলমান।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন ও সুপ্রিমকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি ছিল। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঈদ জামাত শেষে খুতবা পাঠ এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন শত শত মানুষ। মোনাজাতে সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, বন্যার্তদের ওপর রহমত এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও দোয়া করা হয়।
এদিকে, জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ, সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা এই নামাজে অংশ নেন।