Home Uncategorized ঢাকা-বরিশাল রুটে বন্ধ হলো গ্রীন লাইন, যাত্রী শূন্য লঞ্চঘাট

ঢাকা-বরিশাল রুটে বন্ধ হলো গ্রীন লাইন, যাত্রী শূন্য লঞ্চঘাট

দখিনের সময় ডেস্ক:

ঢাকা-বরিশাল নৌ-পথে গ্রীন লাইন চলাচল বন্ধ হেয়েগেছে। এ ব্যাপারে আনুষ।টানিক  ঘোষণা এসেছে ২৫ জুলাই।  পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ঠিক এক মাস পূর্ণের দিনে এই ঘোষণা দেওয়া হলো। এদিকে এই রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চও প্রায় যাত্রী শূন্য হয়েপড়েছে।  দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীর চাপে  যে ঢাকা সদর ঘাট গমগম করতো সেই ঘাট এখন ছাড়া বাড়ির দশার উপনিত হয়েছে।

যাত্রী কমে যাবার কারণে ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে। এরপরও ভাড়া কমিয়ে এবং সেবার মান বাড়িয়ে যাত্রী ধরে রাখার চেষ্টা না করে আগের ভাড়া অব্যাহত রাখার ‘রহস্যজনক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন।

যুগের পর যুগ ধরে জুলুমের ধারা চলেছে লঞ্চে।  চলেছে নানান ধরনের অপরাধ। এক সময় লঞ্চ ব্যবসায় ছিলেন বনেদি লোকজন, বিগত কয়েক দশকে এই সেক্টর যাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে রয়েছে সদর ঘাটের তেলচোর, পাওয়ার ক্যাবেল চোরসন নানান ধরনের অপরাধী। এদেরর প্রভাবেই লঞ্চ সেবা না হয়ে পরিণত হয়েছে মাফিয়া জুলুমে।  পদ্মা সেতু চালু হবার পর যার প্রকট প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রভাব এবং দীর্ঘ দিনের জুলুমের প্রভাবে ঢাকা-দক্ষিণ অঞ্চেল রুটে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। এ অবস্থায় ধারনা করা হয়েছিলো, ভাড়া আস্বাভাবিক হার কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে। এমন দাবীরও উঠেছিলৈা মালিকদের পক্ষ থেকেও। ঈদের পর ভাড়া কমাবার সিদ্ধান্ত আসবে- এটি ছিলো নিশ্চিত ধারণা। কিন্তু তা হয়নি।

বিষযটিকে সাদা চোখে  ‘ঈদের গরম’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালু হবার পরও এবারের ঈদে যাত্রী চাপে মালিকরা গরমে আছেন। কিন্তু আসল বিষয় এমন নয়। বরং লঞ্চভাড়া না কমাবার নেপথ্যে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। তা হচ্ছে স্বল্প পুঁজির মালিকদেরকে লঞ্চ ব্যবসা থেকে বিতাড়ান করা।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সেইসঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী দেশের সেরা সেরা কোম্পানির বিলাসবহুল লঞ্চ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। হঠাৎ করে যাত্রী কমে যাওয়ায় অনেকটা বিপাকেও পড়েন অনেক মালিক। যাত্রীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রস্তাব দেওয়া হয় ভাড়া কমানোর।  বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু শেষতক লঞ্চ ভাড়া না কমাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঞ্চ মালিকদের সংগঠন।

উল্লেখ্য, লঞ্চন মালিদের সংগঠনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদের ঢাকা-বরিশাল রুটে কোন লঞ্চ নেই। আবার এমন নেতাও আছেন যারা লঞ্চের মালিক নন। ফলে লঞ্চ ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে তাদের তেমন ক্ষতি হবার কিছু নেই।

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, জগদ্দল পাথরের মতো চেপেবসা বহিরাগত নেতৃত্বের বাইরেও অন্য একটি জটিল বিষয আছে। তা হচ্ছে, অজ্ঞাত উৎস থেকে পুজিঁ নিয়ে লঞ্চন ব্যবসায আসা কতিপয় মালিক  পুরো সেক্টরকে গ্রাস করার মতলবে আছেন।

এ কারণে পদ্মা সেতু চালু হবার পর যাত্রী ধরে রাখার কৌশল হিসেবে ভাড়া কমানোর চাপ থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে  লঞ্চযাত্রী আরো কমবে। এর প্রভাবে লোকশান এমন মাত্রায় পৌছাবে যে অনেক মালিককেই লঞ্চ ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। তখন এ খাতে বড় পুঁজির মালিকরা জেকে বসার সুযোগ পাবেন এবং পুরো সেক্টর চলে যাবে বড় মালিকদের দখলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক তথ্য গুরুত্বপূর্ণ: ডক্টর আবদুল মালেক

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক বলেছেন, শুদ্ধ ও প্রকৃত তথ্য জনগণের জন্য আবশ্যক। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিকল্পে সঠিক তথ্য প্রদান গুরুত্বপূর্ণ...

নিয়োগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৪ মে থেকেই আবেদন নেওয়া...

ডিএফপির মহাপরিচালক হলেন আকতার হোসেন

দখিনের সময় ডেস্ক: চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের (সংযুক্ত) মহাপরিচালক (গ্রেড-২) আকতার হোসেন। মঙ্গলবার(১৪ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের...

র‍্যানসমওয়্যার হামলায় মুক্তিপণ দেওয়ার হার বেড়েছে

দখিনের সময় ডেস্ক: র‍্যানসমওয়্যার হামলায় মুক্তিপণ দেওয়ার হার গড়ে ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে র‍্যানসমওয়্যার সাইবার হামলায় ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ৪ লাখ থেকে ২০...

Recent Comments