Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি পাঁচ কৌশলে তেল চুরি হচ্ছে পেট্রল পাম্পে

পাঁচ কৌশলে তেল চুরি হচ্ছে পেট্রল পাম্পে

দখিনের সময় ডেস্ক:

বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে সুক্ষ কারসাজির মাধ্যমে অর্ডারের তুলনায় গ্রাহককে দেওয়া হচ্ছে কম তেল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একের পর এক অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না জালিয়াতি। তেল চুরির বিষয়ে বিভিন্ন তেলের পাম্পে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কয়েকটি পাম্পের কর্মীরা জানান, মূলত পাঁচ উপায়ে তেল চুরি করে গ্রাহকদের পকেট কাটা হয়। যেমন- অনেক পাম্পে গ্রাহক ২০০ টাকার তেল চান। কর্মীরা তাকে ২০০ টাকার তেল দিয়ে মিটারের রিডিংয়ে ২০০ টাকাই রেখে দেন। পরবর্তীতে কেউ পাঁচশ টাকার তেল নিতে আসলে অসাধু সেই কর্মীরা রিডিং শূন্য না করে সেই দুইশ টাকা থেকেই তেল দেওয়া শুরু করেন। এতে করে ওই গ্রাহক ৩০০ টাকার তেল পান। কিন্তু মেশিনে বিল আসে ৫০০ টাকার।

গ্রাহকরা অন্যমনস্ক থাকায় তারা এই জালিয়াতি ধরতে পারেন না। কখনো এমন অবস্থায় পড়লে, প্রতারণা এড়াতে পাম্পের কর্মীদের মিটার শূন্য করে ফের বাকি টাকার তেল দেওয়া শুরু করতে বলতে হবে। আবার অনেক অসাধু পেট্রল পাম্প মালিক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক লম্বা পাইপ ব্যবহার করে থাকেন তেল ভরার জন্য। তেল ভরার সময়, নিখুঁত মিটার রিডিংকেও ফাঁকি দিয়ে ক্রেতাকে কম তেল দিয়ে ঠকানো হচ্ছে। কারণ মিটারে যদি দেখায় যে, ১ লিটার তেল দেওয়া হয়ে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে তখনো বেশ কিছুটা তেল ওই লম্বা পাইপেই থেকে যায়। ১ লিটারে ৫০-৬০ মিলিলিটার তেল কম দিলে কেউ খেয়ালও করে না। এভাবে সারাদিনে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত লিটার চুরি করছে পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষ।

সুইচ অন অফ করেও করা হচ্ছে প্রতারণা। যদি দেখা যায়, পাম্প কর্মচারী বারবার তেলের পাইপের সুইচ নামিয়ে ফেলছেন, তাহলে বুঝতে হবে কারসাজি করা হচ্ছে। বারবার অফ হয়ে যাওয়ার ফলে ন্যায্য মূল্যের তেল পাবেন না গ্রাহক। মিটার রিডিংয়ে এসব কারচুপি খুব একটা ধরা পড়ে না। তাই তেল নেওয়ার সময় কর্মচারীকে বলতে হবে, তিনি যেন ট্যাংকে পাইপ ঢোকানোর সময়েই ফিলিং পাইপ অন করেন।

আবার পেট্রলের সঙ্গে ন্যাপথা (পেট্রলেরই উপজাত দ্রব্য) মেশানোর মাধ্যমেই হচ্ছে সীমাহীন চুরি। যেমন- কিছু অসাধু পেট্রল পাম্পমালিক অনেক ক্ষেত্রে পেট্রলের সঙ্গে ন্যাপথা মিশিয়ে ক্রেতাকে ভেজাল তেল দিয়ে ঠকান। ন্যাপথা আর পেট্রলের ঘনত্ব একই রকম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কারসাজি ধরা পড়ে না। পাম্পে ডিজিটাল চিপের মাধ্যমেও অনেক সময় চুরি করা হচ্ছে গ্রাহকের তেল। এ চিপটি রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পাম্পে একজন লোক থাকে যিনি রিমোট দিয়ে চিপ নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো পাম্প থেকে তেল নেওয়ার পর যদি মনে হয় মিটারে ঝামেলা আছে তাহলে ১ লিটারের বোতলে তেলটি মেপে দেখলেই বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাবে বলেও জানান তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

গোয়েন্দা নজদারীতে নতুন ডিসিরা

দখিনের সময় ডেস্ক: এদিকে নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে একের পর এক ঘটনার জন্ম হওয়ার প্রেক্ষাপটে সারা দেশের নতুন ডিসিরা এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এদিকে ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে...

মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি, মুম্বাই অভিমুখে মুসলিমদের যাত্রা

দখিনের সময় ডেস্ক: ক্ষমতাসীন বিজেপির এমএলএ এবং এক ধর্মীয় গুরুর বিচারের দাবিতে র‌্যালি নিয়ে মুম্বাইয়ে গেছেন ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেনন...

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক, বাইডেন-ইউনূসের বৈঠক

দখিনের সময় ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কখনও ভালো, কখনও টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। গত এক দশকে বিভিন্ন ইস্যুতে সেই সম্পর্ক একেবারে তলানীতে গিয়ে...

শিবিরকে প্রকাশ্যে রাজনীতি চর্চার আহ্বান ছাত্রদল সেক্রেটারির

দখিনের সময় ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন। মঙ্গলবার দৈনিক কালবেলার সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নাসির...

Recent Comments