রাষ্ট্রীয় ভাবে বিভিন্ন সেক্টরে গবেষণার উপর জোর দেয়া হয়। এবং সবাই জানেন, গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই গুরুত্বারোপ করে থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্রের টাকায় গবেষণার নামে আসলে কী চলে? প্রায় ক্ষেত্রেই হয় রাষ্ট্রের টাকা নয়-ছয়! ৩১ জুলাই বরিশালে এর একটি নমুনা দেখিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে ৩১ জুলাই বরিশালে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবী মতে এ ওয়ার্কশপ আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে, গবেষণার জন্য গ্রাসরুট থেকে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা। কিন্তু বাস্তবে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছু হয়নি বলে সংশিষ্টা বলছেন।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত বরিশালে উল্লেখিত ওয়ার্কশপ ছিলো অগোছালো। এমনকি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পৃক্ত একাধিক সংস্থাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ আছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আমন্ত্রণ জনানো হয়েছে নির্ধারিত দিন সকালে। ফলে সঙ্গত কারণেই এইসব সংস্থার প্রতিনিধিরা ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। আয়োজকদের তথ্যমতে ওয়ার্কশপে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১১০ জন।
ওয়ার্কশপ আয়োজনে নানার অব্যবস্থাপনার সঙ্গে অভিযোগ আছে, আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে এক হাজার টাকা করে সম্মানী দেবার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, ১৫ আগস্টের মধ্যে বিকাশে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়ে পরিচালক(এনএটিপি) ড. মো: হারুন-অর-রশিদ বলেন, এ ক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যাত্যয় হয়নি। ওর্য়াকশপের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, খোরপোষ কৃষি থেকে বানিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য নানান বিষয়ে গবেষণা চলছে। এর আওতায় মতামত গ্রহনের জন্য ওর্য়াকশপের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে আপর একটি সূত্র বলছে, গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছে না। যদিও এ সংস্থার দায়িত্বের ব্যাপ্তি অনেক বড়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের সবোর্চ্চ প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা ও সম্পদের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি গবেষণা সক্ষমতা জোরদারকরণ বিএআরসি’র দায়িত্ব। যা একই ছাতার নীচে দেশের সমগ্র কৃষি গবেষণার সমন্বয় সাধন। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যেমন: কৃষি, বন ও পরিবেশ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্প, বানিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদির সমন্বিত কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ব্যাপ্তি যত বড় ব্যর্থতা তার চেয়ে অনেকে বেশি।
উল্লেখ্য, কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সদস্য-পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) এর দায়িত্ব পালন করেছেন। সার্ক কৃষি কেন্দ্রের (এসএসি) এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
বরিশালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপ প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করার জন্য ২ আগস্ট সকালে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। উল্লেখ্য, ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার কৃষি সেক্টরে বিশেষ প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী কৃষিমন্ত্রণারয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমন তার প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ তুলে ধরে নিজের নির্বাচনি এলাকায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাষ্ট্রব্যবস্থার গভীরে কালো গুহায় মৃদু আলো ফেলেছে বলে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দ্বারা ধর্ষণের অভিযোগ পুরোটাই সাজানো ঘটনা এবং এর পেছনে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এমনটাও উঠে এসেছে...
সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমন তার প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ তুলে ধরে নিজের নির্বাচনি এলাকায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাষ্ট্রব্যবস্থার গভীরে কালো গুহায় মৃদু আলো ফেলেছে বলে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দ্বারা ধর্ষণের অভিযোগ পুরোটাই সাজানো ঘটনা এবং এর পেছনে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এমনটাও উঠে এসেছে...
দখিনের সময় ডেস্ক:
বাসচালক ও সহকারীকে মারধরের প্রতিবাদে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। তবে শ্রমিক সংগঠন ও...