Home লাইফস্টাইল যেসব ফল খেলেও বাড়বে না রক্তে শর্করার মাত্রা

যেসব ফল খেলেও বাড়বে না রক্তে শর্করার মাত্রা

দখিনের সময় ডেস্ক:

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যার ফলে ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গও খারাপ হতে শুরু করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া রোগীরা শর্করা জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বের করে দেয়। বিশেষত মিষ্টি খাওয়া একদম বন্ধ করে দেন তারা।

কিছু কিছু ফলের মধ্যে এই শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় সেই ফলও খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন ডায়াবেটিসের রোগীরা। যখন আলোচনার বিষয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল নিয়ে হয়, তখন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, ফ্রুক্টোজ মাত্রা এবং পোরশন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আসে সেখানে। সেই ক্ষেত্রেও ওই শর্করা জাতীয় ফলগুলিকে ডায়বেটিসের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

প্রাকৃতিক চিনির একটি ফর্ম, যাতে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে, এই ধরনের ফল গুলি ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে নিম্নে এমনও ফল রয়েছে যা ডায়াবেটিসের রোগীদের ওপর কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে না।
পিচ- ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সহায়ক এই মিষ্টি ও রসালো ফলটি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে এই ফল রয়েছে ৪২ নম্বরে, যার শর্করা আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রায় কোনও ক্ষতি করবে না। তাছাড়া পিচের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং সি।

চেরি- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ চেরি। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার যা শরীরে শর্করার মেটাবলিজমে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে এই ফল রয়েছে ২০ নম্বরে।

প্লাম- প্লাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এর মধ্যে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও প্রায় ৪৫ রকমের ভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে এই ফল রয়েছে ৪০ নম্বরে। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফল হল সেরা পছন্দ।

কমলালেবু- কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়ামের মত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে সহায়ক। এটি ফল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তার সঙ্গে মেটাবলিজমে সাহায্য করে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে এই ফল ৪০ থেকে ৪৩ নম্বরে রয়েছে।

আপেল- গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে আপেল রয়েছে একদম নিম্নে, যার অর্থ হয় এটি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। উপরন্ত আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে এবং এটি ফাইবারে সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে এবং শরীরে চিনিকে শোষণ করে নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments